হোম > শিক্ষা

পরিকল্পিত হামলার শিকার ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা, জিম্মির অভিযোগ

ড্যাফোডিলের সংবাদ সম্মেলনে

আমার দেশ অনলাইন

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ওপর পরিকল্পিত ও সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে সিটি ইউনিভার্সিটির একদল শিক্ষার্থী বলে অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। অভিযোগ উঠেছে—হামলাকারীরা শুধু শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণই চালায়নি, বরং তাদের হোস্টেল ব্যাচেলর্স প্যারাডাইস-এ প্রবেশ করে সংগবদ্ধভাবে ভাঙচুর ও নির্যাতন চালায়।

মঙ্গলবার ঢাকার আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আমিনুল ইসলাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালযের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আর কবির। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল ও এক্সটানারনাল এফেয়ার্স পরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাথে সিটি ইউনিভার্সিটির আক্রমণাত্মক ঘটনার পর পাওয়া ভিডিও সাক্ষ্য–প্রমাণ ও মিডিয়া সাক্ষাৎকার বিশ্লেষণ করে ,অ্যাকাউন্টস থেকে দেড় কোটি টাকা চুরির অভিযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় সিটি ইউনিভার্সিটির প্রশাসন মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্ প্রফেসর এম আর কবির। তিনি বলেন, ‘শুধু গাড়ি পোড়ানো আর ভাঙচুর নয়, শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতনের জন্যও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সিটি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষকে। প্রফেসর এম আর কবির বলেন, ‘বর্তমানে ৬ জন শিক্ষার্থী আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইউজিসি বিষয়টি যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করছি’।

তিনি বলেন, ‘সিটি ইউনিভার্সিটি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা জড়িত কিনা তা তদন্তে প্রমাণ হবে। এজন্য ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন।

উল্লেখ্য, গত রোববার রাতে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকায় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে থুথু ফেলাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পরে মধ্যে রাতে ওই ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, আমরা চাই— আইনগতভাবে দোষীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক; একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও শিক্ষাঙ্গণের শান্তি পুনঃস্থাপিত করা হোক।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই অপরাধের পর্যায় ও সংঘটনের ধরণ পূর্বপরিকল্পিতভাবেই সাজানো ছিল। আমাদের শিক্ষার্থীদের জিম্মি রেখে, তাদের অস্ত্রের মুখে ধরে জোরপূর্বক বিভিন্ন বক্তব্য (স্বীকারোক্তি) আদায় করা হয়—যা স্পষ্টতই আইন-বিরুদ্ধ। তারা গ্রেফতারের বদলে নিজেরাই ওই শিক্ষার্থীদের আটক করে সাররাত নির্যাতন করেছে এবং ফলে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। গ্রেফতারকৃত বা আটক ব্যক্তিদের পরিচয় ও গ্রেফতারের কারণও শিক্ষার্থীদের বা পরিবারকে জানানো হয়নি; এতে প্রমাণ হয় যে, এ ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে এবং এর উদ্দেশ্য সম্ভবত অর্থ হরণ বা অন্য কোনো স্বার্থান্বেষী উদ্দেশ্য পরিচালন করা। এ কারণে নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে অনতিবিলম্বে বিচার দাবি করছি। যদি প্রমাণিত হয় যেকোনো প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক সংগঠিত কার্যক্রমের মাধ্যমে এটি সংঘটিত হয়েছে, তবে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

জিম্মি শিক্ষার্থীদের কারণে পরিস্থিতির ভয়াবহ মানসিক চাপ ও পরিকল্পিত মিডিয়া ট্রাইয়ালের অপচেষ্টা সম্পর্কে ব্যাখ্যা:

আমাদের শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে রাখার কারণে আমরা সারাদিনই চরম উদ্বেগ ও মানসিক উৎকণ্ঠায় ছিলাম। কোন মিডিয়ার সাথে কথা বলা বা আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগও পাইনি, কারণ আমরা নিশ্চিত ছিলাম না— শিক্ষার্থীরা আটক আছে, তাদের অবস্থা কী এবং কোথায় রাখা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অসংখ্য অভিভাবক আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেও শিক্ষার্থীরা আমাদের ঘিরে রেখেছিল উদ্বেগের মধ্যে।

এই দুর্বলতার সুযোগে, সিটি ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে পরিকল্পিতভাবে “মিডিয়া ট্রায়াল” পরিচালনা করা হয়েছে, যাতে সত্য ঘটনাকে বিকৃত করে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা যায়। আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও মানবিক সংকট যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে, তখন তারা মিডিয়ার মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে মূল অপরাধ ঢাকতে ও সহানুভূতি আদায়ে ব্যস্ত ছিল।

আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি—এই মিডিয়া ট্রায়াল ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং সত্য ঘটনাকে আড়াল করার কৌশল। তাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ও গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি—এই “মিডিয়া ম্যানিপুলেশন” এবং “জিম্মি রাখার” ঘটনার যৌথ তদন্ত করে প্রকৃত দায়ীদের চিহ্নিত করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এভাবে সত্য বিকৃত করে ন্যায়বিচারকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে।

উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন, দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটিত হবে, এবং যারা পরিকল্পনাকারী ও উসকানিদাতা তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ প্রসঙ্গে আমরা সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করতে প্রস্তুত আছি—ভিডিও/সাক্ষী/চিকিৎসা নথি ইত্যাদি প্রমাণাদি সরবরাহ করতে।

শিক্ষক নিয়োগে নতুন শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থ সংকটের অভিযোগ উপাচার্য আমানুল্লাহর

ক্ষমা চাইলেন রাবি শিক্ষক, বিচার দাবি শিক্ষার্থীদের

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বড় বিজ্ঞপ্তি আসছে

বাকসু ভবনে ভাতের হোটেলের ব্যানার

বাড়তি পাঠ্যবই ছাপিয়েও আওয়ামী আমলে লুটপাট

শিক্ষকের ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য: মধ্যরাতে বিক্ষোভে উত্তাল রাবি

প্রাথমিকের উপবৃত্তির টাকা বিতরণ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

নভেম্বরেই শুরু হচ্ছে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম

শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য বড় সুখবর