হোম > শিক্ষা

জুনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন চান ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী

জরিপের ফলাফল

রাফিউজ্জামান লাবীব, ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব তৈরির অন্যতম সিঁড়ি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। সেই ডাকসু নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা বহুদিনের। ২০১৯ সালে দীর্ঘ ২৮ বছর পর নির্বাচন হলেও এর ধারাবাহিকতা বজায় ছিল না। প্রায় অর্ধযুগ পেরিয়ে গেলেও ডাকসু নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হয় তৎকালীন প্রশাসন। গত বছরের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে দেশের পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেও পরিবর্তন আসে। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু নিয়ে ইতিবাচক রয়েছে ঘোষণা দিলেও নির্বাচন কবে নাগাদ অনুষ্ঠিত হবে সেটার দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারেনি।

তবে দায়িত্বে আসার পর ডাকসু নির্বাচন নিয়ে অনেক দূর কাজ হয়েছে বলে জানান প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যে নির্বাচনের টাইমলাইন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী মে মাসের শুরুতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু গঠনতন্ত্র সংশোধন, নির্বাচনের আচরণবিধি সংশোধন ও ডাকসু নির্বাচনের পরামর্শদানÑ এ তিনটি কমিটি গঠন করে। কমিটিগুলো বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করে।

এ ছাড়া গত ২৩ মার্চে ডাকসু নির্বাচন সফল করতে মতামত চেয়ে শিক্ষার্থীদের ড্যাশবোর্ডে ‘ডাকসু পোল’ নামে নতুন একটি মেন্যু দেওয়া হয়। এই কাজটি করে ডাকসু নির্বাচনের পরামর্শদান কমিটি। এতে অংশ নেন ৮১টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের এক হাজার ৭৪৩ জন শিক্ষার্থী। জরিপের এ ফলটি চলতি মাসের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জমা দেওয়া হয়।

জরিপের ফলে দেখা যায়, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন চান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর পাশাপাশি মৌলিক কিছু বিষয়ের সংস্কারসহ নির্বাচনে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান, ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে আলাপ করে আগানো, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এবং ভোটগ্রহণ ও গণনা ডিজিটালাইজড করাসহ নানা পরামর্শ দেওয়া হয়।

জরিপের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আগামী তিন মাস অর্থাৎ জুনের মধ্যে নির্বাচন চান এক হাজার ৩০৭ জন শিক্ষার্থী, যার হার ৭৫ শতাংশ। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চান ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। অন্যদিকে এক বছর পর ৫ শতাংশ এবং এক বছরের আরো পরে চান ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে সহিংসতামুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব কি নাÑ এমন প্রশ্নের উত্তরে এক হাজার ৭৪৩ জনের মধ্যে ‘ব্যবস্থা নিলে সম্ভব’ বলে মনে করেন ৭৫ শতাংশ। ছাত্রসংগঠনগুলো একমত হলে অংশগ্রহণ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন সম্ভব বলে জানান ১৯ শতাংশ। অন্যদিকে ৭৪ জন শিক্ষার্থী মতামত দেন বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি বাস্তবসম্মত নয়। আবার সহিংসতামুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে ‘নিশ্চিত নয়’ বলে মত দেয় ৩০ জন শিক্ষার্থী।

জরিপে নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের প্রশ্নে কয়েকটি বাছাই করা একাডেমিক ভবনের (কার্জন হল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, কলা ভবন) পরামর্শ দেন ৪৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট হল ও একাডেমিক ভবনÑ দুই জায়গাতেই ভোটগ্রহণের পক্ষে সায় দিয়েছেন ২৩ শতাংশ শিক্ষার্থী।

জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বড় একটি অংশ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয় বলে জানিয়েছে। এর মধ্যে ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থী রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয় বলে জানান। বাকি ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে জানান।

গত বছরের ডিসেম্বরে ডাকসু নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া একই মাসে গঠনতন্ত্র সংস্কার করে এবং এর চূড়ান্ত কপি ছাত্রসংগঠনগুলোর কাছে পাঠায়। তারও আগে এ নিয়ে ছয়টি সভা হয়। এ ছাড়া গত ১৫ জানুয়ারি ডাকসু নির্বাচনের ‘কোড অব কন্ডাক্ট রিভিউ কমিটি’ গঠন করা হয়। কমিটি বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে সাতটি সভা করে। ডাকসুর সংশোধিত গঠনতন্ত্র ও আচরণবিধি গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে ডাকসু নির্বাচনের পরামর্শদান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা আমার দেশকে বলেন, গঠনতন্ত্র ও আচরণবিধি অনুমোদন পেলেও সিন্ডিকেট কিছু পরামর্শ ও ভাষাগত পরিবর্তনের কথা বলেছে। শিক্ষার্থীদের থেকে নেওয়া জরিপটিতে বেশ কিছু পরামর্শ এসেছে, যা গুরুত্বপূর্ণ। আগামী মে মাসের শুরুতে নির্বাচন কমিশন গঠিত হলে আমরা কমিশনকে এসব পরামর্শ মানার আহ্বান জানাব। বাকিটা সেই কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।

ডাকসু নির্বাচন ঠিক কবে নাগাদ অনুষ্ঠিত হবে এমন প্রশ্নে তিনি ড. বিদিশা বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে অনেকগুলো আইনি প্রক্রিয়া পার করতে হয়। সেসব ধাপ আমরা দ্রুত শেষ করতে চাই। এরপর কমিশন গঠন হলে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটি নিয়ে প্রশাসন কাজ করছে।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের জায়গা থেকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। ইতোমধ্যে টাইমলাইন ঘোষণা করেছি। বিভিন্ন কমিটি কাজ করছে। শিক্ষার্থীরা সহযোগিতা করলে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্ভব। এ সময় সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে সবার সহযোগিতাও প্রত্যাশা করেন তিনি।

মোবাইল আসক্তি দূর করতে তরুণদের ইতিবাচক কাজ করতে হবে

ঢাবিতে একটি আসনের জন্য লড়েছেন ৩৯ জন

‘ই’ ইউনিট দিয়ে শনিবার শুরু হচ্ছে জবির ভর্তি পরীক্ষা

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শুরু

তা'মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ

মাদরাসায় পাঠ্যবই বিতরণে জরুরি নির্দেশনা

স্কুলে ভর্তির লটারির ফল যেভাবে জানবেন

বাজেটের সবচেয়ে বড় অংশ ব্যয় হচ্ছে বিদেশি ঋণ পরিশোধে

তেজগাঁও কলেজে শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ২৪ ডিসেম্বর