হোম > বিনোদন

‘আইয়ুব বাচ্চু মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’ চালুর প্রস্তাব

বিনোদন রিপোর্টার

বাংলাদেশের রক আইকন ও গিটারের জাদুকর আইয়ুব বাচ্চু স্মরণে ‘আইয়ুব বাচ্চু মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’ চালুর প্রস্তাব এসেছে। এমন একটি প্রস্তাব এসেছে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তীর কাছ থেকে। প্রয়াত শিল্পীর সঙ্গে তার ছিল সখ্য। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর পৃথিবীর মায়া কাটান এই সংগীতশিল্পী।

বাচ্চুকে স্মরণ করে নিজের অভিব্যক্তি জানাতে গিয়ে আশীষ কুমার বলেন, 'আমার বারবারই চাওয়া বাচ্চু ভাইয়ের নামে চালু হোক ‘আইয়ুব বাচ্চু মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’। এই আয়োজনে আমি ও আমার প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাশে থাকার অঙ্গীকার করছি।'

তিনি আরো বলেন, ‘বাচ্চু ভাইয়ের জন্মদিন কিংবা মৃত্যুদিন কখনই ছোট পরিসরে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে এই কীর্তিমান শিল্পীর স্মৃতিচারণে।’ এই চিকিৎসকের সঙ্গে বাচ্চুর সখ্য ছিল অন্যরকম। বাচ্চুর বেশ কয়েকটি কনসার্টের আয়োজক ছিলেন তিনি। ২০১০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজয় দিবসের ৪০ বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় ওপেন এয়ার কনসার্ট ‘বিজয়ানন্দ’।

আশীষের ভাষ্য, কনসার্টের দুদিন আগে বাচ্চু জানালেন, সেদিন তার অন্য একটি কনসার্ট আছে। এদিকে কনসার্টের সব আয়োজন শেষ। সেই স্মৃতি মনে করে এই চিকিৎসক বলেন, কনসার্টের দুদিন আগে বাচ্চু ভাই আমাকে হঠাৎ কল করে জানিয়েছেন, তার সেদিন এক অনিবার্য কনসার্ট পড়ে গেছে। বাচ্চু ভাই বলেন, একটা ঝামেলা তো হয়ে গেল, আমার তো সেদিন আরেকটা কনসার্ট পড়ে গেছে। আমি তো লাফ দিয়ে উঠে বাচ্চু ভাইকে বলেছি, আমার প্রচার শেষ, পোস্টার করা শেষ। এখন আপনি না করলে আমি তো বিপদে পড়ে যাব। বাচ্চু ভাই বলেন, আমার কথা শুনুন। আমি হেলিকপ্টার নিয়ে যাব কনসার্ট করতে। আমি লাফ দিয়ে বললাম, ‘আমাদের এত টাকা-পয়সা নেই’।

বাচ্চু ভাই সেদিন আমাকে বলেন, ‘শুনুন, আমি প্রোগ্রামে যাব। আপনার টাকা-পয়সা লাগবে না, হেলিকপ্টারে আমার খরচে যাব। তবে আপনার কথা দিতে হবে আমাকে এক ঘণ্টার বেশি রাখতে পারবেন না। কারণ, এক ঘণ্টার বেশি হলে হেলিকপ্টারের ল্যান্ডিং চার্জ দিতে হবে।’ বাচ্চু ভাই তা-ই করেছিলেন। আমরা এই কনসার্টের জন্য তাকে যে সম্মাননা দিয়েছিলাম, সেটা এই হেলিকপ্টারের চার্জ ধরতে গেলে বিনামূল্যেই ওই কনসার্ট করে গেছেন তিনি। বাচ্চু ভাই এমন উদার মনের মানুষ ছিলেন। ২০১২ সালে আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’ কনসার্টের স্মৃতিও তুলে ধরেন তিনিÑআর্মি স্টেডিয়ামে বড় করে দেশের সব ব্যান্ড নিয়ে ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’ কনসার্টের আয়োজন করেছিলাম। সেখানে জেমস এবং এলআরবি পারফর্ম করবে। কিন্তু জেমস হঠাৎ আগে মঞ্চে উঠে যায়, এতে বাচ্চু ভাই অভিমান করে কনসার্ট করবেন না। এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন। তিনি বলেন, তারপর বাচ্চু ভাইয়ের স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার চন্দনা ভাবিকে কল দিয়ে বলেছিলাম তাকে বুঝিয়ে বলতে কনসার্ট যেন শেষ করে যায়। ভাবির হস্তক্ষেপেই কনসার্ট শেষ করেন তিনি। আশীষ কুমার বলেন, বাচ্চু ভাই ছিলেন নিরহংকারী, অভিমানী, শিশুসুলভ মানুষ। তার সঙ্গে কাটানো সময়গুলো আমার জীবনের অন্যতম প্রাপ্তি।

সন্ত্রাসী তালিকায় সালমান খান, কেন?

আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, হদিস মিলছে না সামিরা, ডনের

চলচ্চিত্র পাড়ায় সরব হচ্ছেন হত্যা মামলার আসামি নিপুণ

‘জীবনের ইতি কখন, কোথায় ঘটে কেউ জানে না’

পুরস্কার পেলেন রায়হান রাফি

মৃত্যুর আগের দিন যেভাবে কাটান সালমান শাহ

দীঘির নায়ক এবার বাপ্পারাজ

শিল্পকলায় আসছে নোবেলজয়ী নাট্যকারের ‘ডিজায়ার আন্ডার দ্য এলমস’

সালমান শাহর বাসায় সেদিন বোরকা পরে কারা এসেছিল

তানজিন তিশাকে আইনি নোটিশ