১৬ ডিসেম্বর—বাঙালি জাতির ইতিহাসে গৌরব, আত্মত্যাগ আর মুক্তির অনন্য এক দিন। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর এই দিনেই অর্জিত হয়েছিল আমাদের কাঙ্ক্ষিত বিজয়।
বিজয় দিবস শুধু একটি রাষ্ট্রীয় উৎসব নয়; এটি তরুণ প্রজন্মের চেতনা, দায়িত্ব ও স্বপ্নের প্রতীক। ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে এই দিন আমাদের নতুন করে মনে করিয়ে দেয়—স্বাধীনতার মূল্য, সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর সাহস এবং একটি ন্যায্য, মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার। সবার মতামত তুলে ধরেছেন উম্মে কায়নাত আফরাহ।
স্বাধীনতা শুধু স্মৃতিতে নয়, প্রতিটি স্তরে যেন বাস্তব রূপ পায়
১৬ ডিসেম্বর আমাদের চূড়ান্ত বিজয়ের দিন। স্বাধীনতা অর্জনের এত বছরে বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে টিকে আছে, বিশ্বের দরবারে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা এবং অবস্থান তৈরি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে এটিই আমাদের প্রাপ্তি। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত প্রত্যাশায় আমরা তেমন কিছুই বাস্তবায়ন করতে পারিনি। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার এই বিষয়গুলো এখনো প্রবলভাবে অনুপস্থিত। তাছাড়া দুর্নীতি, বৈষম্য, বেকারত্ব, রাজনৈতিক মিথ্যাচার, দোষারোপের রাজনীতি, গণতান্ত্রিক সংকট ও নৈতিক অবক্ষয় আমাদের বড় বাধা এবং পতিত স্বৈরাচার এবং ক্ষমতালোভী গোষ্ঠী দেশকে কিছু অপ্রাসঙ্গিক ইস্যু তৈরি করে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রত্যাশা থাকবে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র, কার্যকর গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন। স্বাধীনতা যেন শুধু স্মৃতিতে নয়, নাগরিক জীবনের প্রতিটি স্তরে যেন বাস্তব রূপ পায়।
মো. কাজী জিয়া উদ্দিন বাসিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়