টেলিকম খাতের খসড়া গাইডলাইনে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম ঢাকায় ১১ শতাংশ এবং ঢাকার বাইরে গ্রামে ১৮.৪০ শতাংশ বাড়বে। টেলিকম খাতের মতো এই খাতেও ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার, ১ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষা তহবিলে জমা এবং টেলিকম কোম্পানিকে এফডব্লিউ ও হটস্পট সুবিধা দেওয়ায় এই খাতের ২ হাজার ৭০০ দেশীয় উদ্যোক্তা ঝুঁকিতে পড়বে।
সোমবার সকালে রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবের স্কাইলাইন রেস্টুরেন্টে আইএসপিএবি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, সরকার ভুল পথে এগোচ্ছে। লাইসেন্স গাইডলাইনে জনআকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়নি। সমাজিক দায়বদ্ধতা থেকে দেশীয় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এই ব্যবসায় এলেও তাদের মুনাফা নয়, বরং আয়ের ওপর রেভিনিউ ও এসওএফ ফান্ড চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্টারলিংকের সঙ্গে আইএসপি বৈষম্য এতো কেন? টেলিকম অপারেটরদের লাইসেন্সের চেয়ে বেশি সুবিধা কেন?
তিনি আরো বলেন, নতুন নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে গ্রাহক পর্যায়ে গড় ইন্টারনেট মূল্য বাড়বে ২০ শতাংশ; ব্যবসায়ী পর্যায়ে বাড়বে ১৪ শতাংশ। এমন পরিস্থিতির কারণে আমরা রাজনৈতিক দলের কাছে টেলিকম খাতে হস্তক্ষেপ কামনা করি।
আইএসপিএবি সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইএসপিএবির সহ-সভাপতি নেয়ামুল হক খান, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব আলম, ফুয়াদ মুহাম্মদ শরফুদ্দিন ও কোষাধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমেদ।