হোম > ফিচার > ক্যাম্পাস

শহীদ হাদি, আবরার ও ফেলানীর নামে হলের নামকরণ দাবি

কুবি শিক্ষার্থীদের

প্রতিনিধি, কুবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০০ একরের নির্মাণাধীন নতুন ক্যাম্পাসে শহীদ ওসমান হাদি, শহীদ আবরার ফাহাদ ও শহীদ ফেলানীর নামে আবাসিক হলের নামকরণের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে দ্রুত ছাত্রসংসদ নির্বাচন এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত হামলার বিচার দাবি করা হয়েছে।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মাননীয় উপাচার্যের কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বাধীনতার ৫৫ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশ এখনো আধিপত্যবাদী চর্চা থেকে মুক্ত হতে পারেনি। বরং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে শহীদ হতে হয়েছে দেশের মেধাবী সন্তানদের। বুয়েটের শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদ এবং সর্বশেষ ১৮ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ ওসমান হাদির শাহাদাত সেই বাস্তবতারই নির্মম প্রমাণ।

শিক্ষার্থীদের দাবি, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতার সংগ্রামকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে নতুন ক্যাম্পাসে নির্মাণাধীন আবাসিক হলগুলো শহীদদের নামে নামকরণ করা হোক। এ লক্ষ্যে তারা শহীদ ওসমান হাদি হল, শহীদ আবরার ফাহাদ হল শহীদ ফেলানী হল (আধিপত্যবাদের নির্মমতার প্রতীক হিসেবে) তিনটি হলের নাম প্রস্তাব করেন।

স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি হামলার পর আন্দোলন সারাদেশে নতুন গতি পায়। তবে অভ্যুত্থানের ১৭ মাস পার হলেও সেই হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দৃশ্যমান হয়নি। অবিলম্বে দায়ীদের বিচারের দাবিও জানান শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রসংসদ নির্বাচন না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়। দ্রুত ছাত্রসংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবিও তোলা হয়।

বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মামুনুর রশীদ বলেন, আমরা এমন একটি সময়ে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে সত্য কথা বলা এখনো ঝুঁকিপূর্ণ। আবরার ফাহাদ কিংবা ওসমান হাদির মতো তরুণদের জীবন দিয়ে সেই সত্যের মূল্য দিতে হয়েছে। তাদের নামে নতুন ক্যাম্পাসে হলের নামকরণ করলে কেবল একটি ভবনের নামই দেওয়া হবে না, বরং শিক্ষার্থীদের মাঝে নৈতিক সাহস, প্রতিবাদী চেতনা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর প্রেরণা ছড়িয়ে পড়বে।

ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাহিম বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি হামলার পর সেই আন্দোলন সারাদেশে আরও বিস্তৃত হয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ১৭ মাস পার হলেও সেই হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান বিচার হয়নি। আমরা চাই, দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরু হোক এবং একই সঙ্গে ছাত্রদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিতে অবিলম্বে ছাত্রসংসদ নির্বাচন আয়োজন করা হোক।

ম্যানুয়ালি ভোট গণনাসহ দুই দফা দাবি জবি ছাত্রদলের

জকসু নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের

৯ দিনের শীতকালীন ছুটি পাচ্ছেন জাবি শিক্ষার্থীরা

জবি শিক্ষার্থীদের যাযাবর জীবনের অবসান ঘটাব

জকসু নির্বাচন: টাকা ও চকলেট বিতরণের কথা স্বীকার ছাত্রদলের জিএস-এজিএস প্রার্থীর

জকসু নির্বাচনে ভোটারদের জন্য ১২ নির্দেশনা

তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিকদের ‘স্টুপিড’ বললেন জবি অধ্যাপক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, প্রতি আসনের জন্য লড়ছেন ৮৫ জন

চবিতে ওসমান হাদির স্মরণে দেওয়াল লিখন-গ্রাফিতি

জবিতে ৩০ ডিসেম্বর ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ