হোম > ফিচার > ক্যাম্পাস

জকসু নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের

প্রতিনিধি, জবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করেছে ছাত্রশক্তি সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’প্যানেল।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্যানেলটির ভিপি প্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য ও জিএস প্রার্থী ফয়সাল মুরাদ এই দাবি জানান।

​বক্তারা অভিযোগ করেন, নির্বাচনের পরিবেশ বর্তমানে কোনোভাবেই ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ পর্যায়ে নেই। বড় দলগুলো পেশিশক্তি ও কালো টাকার ব্যবহার করে নির্বাচনের আমেজ নষ্ট করছে এবং প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন এ ক্ষেত্রে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফয়সাল মুরাদ নির্বাচন কমিশনের দ্বিমুখী আচরণের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “কমিশন আমাদের প্রজেকশন মিটিংয়ের অনুমতি দেয়নি, অথচ হল প্রভোস্টরা বড় দলগুলোকে ঠিকই অনুমতি দিচ্ছেন। প্রকাশ্য দিবালোকে হলে হাজার হাজার প্যাকেট খাবার ও উপহার সামগ্রী ঢুকছে। কমিশনকে জানালে তারা অসহায়ত্ব প্রকাশ করে। এই অক্ষম কমিশন দিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন কখনোই সম্ভব নয়। প্রশাসনের নাকের ডগায় সবকিছু করা হচ্ছে আর কমিশন বসে বসে আঙুল চুষছে। এই আঙুল চোষা কমিশনের আমাদের দরকার নেই। অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ করতে হবে।”

​ছাত্রশক্তি সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের ভিপি প্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য বলেন, “জেলা সংগঠনের সংবর্ধনার নামে দিনের পর দিন বিভিন্ন জেলা সংগঠনের নবীন বরণ ও মিটআপের নামে এইখানে যা হয়েছে, সেটা নির্বাচনের সাথে তামাশা। এইখানে নির্বাচনের সাথে শুধুমাত্র তামাশা করা হইছে তাই না, দিনের পর দিন যারা সাধারণ শিক্ষার্থী আছে, স্বতন্ত্র আছে, যারা নিয়ম মানে, নিয়মকে শ্রদ্ধা করে, তাদের সাথে রীতিমতো অবমাননাকর আচরণ করা হইছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় একের পর এক বারবিকিউ করা হচ্ছে, বিভিন্ন কাজ করা হচ্ছে আর নির্বাচন কমিশন বসে বসে আঙুল চুষছে। এই কমিশনের তো দরকার নেই।"

তিনি আরো অভিযোগ করেন, "এখানে একেকটা বড় দল প্রতিযোগিতায় নামছে যে কে কার চেয়ে কত বেশি নিয়ম ভাঙতে পারে। তারা ছাত্রদের পাশে থাকার নামে, ছাত্রদের কল্যাণের নামে দুইটা বড় বড় দল নিয়মিত ঘোষণা দিয়ে প্রতিযোগিতায় নামছে। এবং এই প্রতিযোগিতা যদি চলতে থাকে তাহলে আর যাই হোক একটা নির্বাচনের ফেয়ার ফিল্ড থাকতে পারে না। এই নির্বাচনে পরিষ্কারভাবে বারবিকিউ পার্টি, বিভিন্ন কুইজ প্রতিযোগিতার অজুহাতে প্রতিদিন রাতে নির্বাচনের এই ১০ দিন ৭ দিন আগেও এসব প্রোগ্রামের নামে, রিসোর্টে যাওয়ার নামে সহজভাবে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমাদের পরিষ্কার দাবি এই প্র-নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ করে নতুন নির্বাচন কমিশনের হাতে নির্বাচনের দায়িত্ব দিতে হবে।"

​উল্লেখ্য, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আগামী ৩০ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে নির্বাচনের তারিখ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে প্যানেলগুলোর মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও উত্তাপ বাড়ছে।

শহীদ হাদি, আবরার ও ফেলানীর নামে হলের নামকরণ দাবি

৯ দিনের শীতকালীন ছুটি পাচ্ছেন জাবি শিক্ষার্থীরা

জবি শিক্ষার্থীদের যাযাবর জীবনের অবসান ঘটাব

জকসু নির্বাচন: টাকা ও চকলেট বিতরণের কথা স্বীকার ছাত্রদলের জিএস-এজিএস প্রার্থীর

জকসু নির্বাচনে ভোটারদের জন্য ১২ নির্দেশনা

তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিকদের ‘স্টুপিড’ বললেন জবি অধ্যাপক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, প্রতি আসনের জন্য লড়ছেন ৮৫ জন

চবিতে ওসমান হাদির স্মরণে দেওয়াল লিখন-গ্রাফিতি

জবিতে ৩০ ডিসেম্বর ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ

জবি ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর