শীতকালে নাক বন্ধ কেন হয়, কীভাবে চেনা যায় এবং ঘরোয়া যত্নে কীভাবে প্রতিকার করা যায়, তা জানা জরুরি।
নাক বন্ধ হওয়ার কারণ
শীতকালে নাক বন্ধ হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো শীতল ও শুকনো বাতাস। নাকের ভেতরের শ্লেষ্মা শুষ্ক হয়ে গেলে রক্তনালি ফোলা শুরু হয় এবং নাক বন্ধ ভাব অনুভূত হয়। শীতকালে ঘরে গরম বাতাস ও রেডিয়েটর ব্যবহার নাকের শ্লেষ্মা আরো শুষ্ক করে তোলে।
অন্যান্য কারণ
সর্দি-কাশি বা ভাইরাস সংক্রমণ : শীতকালে ভাইরাস সক্রিয় হয়ে যায়, যা নাকের শ্লেষ্মা বাড়ায় এবং নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা তীব্র করে।
অ্যালার্জি : ধুলা, ধোঁয়া বা আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে নাকে অ্যালার্জি হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে শীতের সময় ধুলোময় পরিবেশ বা গরম ঘরের বাতাসের কারণে অ্যালার্জি আরো প্রকাশ পায়।
নাজাল পলিপ : নাকের ভেতরে অস্বাভাবিক টিস্যুর বৃদ্ধি শ্বাসনালিতে বাধা সৃষ্টি করে।
সাইনাস সমস্যা : শীতকালে সাইনাসে ফ্লুইড জমে গেলে নাক বন্ধ হয়ে যায়।
পরিবেশগত কারণ : শীতের সময় ঘরে ধুলো, ধোঁয়া বা শুষ্ক বাতাস নাকের শ্লেষ্মাকে রুক্ষ করে, যা শ্বাসকষ্ট বাড়ায়।
লক্ষণ
এমন লক্ষণ দেখলে বুঝতে হবে এটি শুধুই সাময়িক সমস্যা নয়। শীতকালে সঠিক যত্ন নিলে এই সমস্যা অনেকাংশে হ্রাস করা যায়।
ঘরোয়া প্রতিকার
নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা প্রায়ই ঘরোয়া যত্ন ও সহজ অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে কমানো যায়।
ভাপ নেওয়া : গরম পানির ভাপ নাকের শ্লেষ্মা ঢিলা করে এবং শ্বাস নিতে সহজ করে। দিনে ১০-১৫ মিনিট ভাপ নেওয়া অনেক সময় কার্যকর।
নাক পরিষ্কার রাখা : লবণপানি দিয়ে নাক ধোয়া নাকের শ্লেষ্মা পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি বিশেষভাবে উপকারী যখন দীর্ঘ সময় ধরে নাক বন্ধ থাকে।
গরম পানীয় : গরম চা, স্যুপ বা গরম পানি নাক খোলার অনুভূতি দেয় এবং শ্বাসকষ্ট কমায়।
আর্দ্রতা বজায় রাখা : শীতকালে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করলে ঘরের বাতাস আর্দ্র থাকে এবং নাক শুষ্ক হয় না।
শীতের সময় উষ্ণ রাখা : গরম কম্বল, শাল বা স্কার্ফ নাক এবং শরীর উষ্ণ রাখে, শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করে।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি