আলোচনা সভায় বক্তারা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্যানেল আলোচকরা বলেছেন, আমাদের জনগণকে নৈতিক, দক্ষ ও কর্মক্ষম মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। যাতে দেশীয় ও বৈশ্বিক শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব হয়। পাশাপাশি আমাদের শিক্ষক ক্ষমতায়নের বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। যাতে শিক্ষকরা নিয়মিত শিখতে পারেন এবং আরও মানসম্মত শিক্ষা দিতে পারেন।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ইউথ কাউন্সিল অব বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল সাহাদত বিন জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্ট ড. মাহদি আমিন, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, শিখো এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহির চৌধুরী, কলাম লেখক শাফকাত রাব্বী প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শুধু একটি প্রযুক্তি নয়, এটি আমাদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং নেতৃত্বের ধরন বদলে দিচ্ছে। আজকের এই আলোচনা তরুণদের জন্য ভবিষ্যৎ প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের মতো দেশে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকলেও ভাষা দক্ষতা ও কাজের উপযোগী প্রশিক্ষণের ঘাটতির কারণে তা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
আলোচকরা বলেন, আমাদের শিক্ষক ক্ষমতায়নের বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। এই কারণেই ‘ওয়ান টিচার, ওয়ান ট্যাবলেট’ নীতি নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই—যাতে শিক্ষকরা নিয়মিত শিখতে পারেন এবং আরও মানসম্মত শিক্ষা দিতে পারেন। প্রযুক্তি শিক্ষকের বিকল্প নয়—এটি শিক্ষকদের শক্তিশালী করে।
প্যানেল আলোচনায় শিক্ষানীতি সংস্কার, ডিজিটাল বৈষম্য, কর্মসংস্থান উপযোগী দক্ষতা এবং তরুণদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।