হোম > ফিচার > তথ্য-প্রযুক্তি

বন্ধ হবে অবৈধ ফোন!

জুবাইর আল হাদী

অনিবন্ধিত মুঠোফোন হ্যান্ডসেটের ব্যবহার রোধ এবং টেলিযোগাযোগ খাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হতে যাচ্ছে এনইআইআর ব্যবস্থা। এটি চালু হলে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে নিবন্ধনবিহীন, চুরি হওয়া বা আমদানি অননুমোদিত ফোনের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। এ রকমই একটি ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

এ খবর শোনার পর অনেকেই বেশ চিন্তিত! ভাবছেন, আমার ফোনটিও কি বন্ধ হয়ে যাবে? অথবা হাতের এই ফোনটি কি নিবন্ধিত? তাহলে চলুন জেনে আসি আপনার হাতে থাকা ফোনটিও বন্ধ হয়ে যাবে কি না!

কী এই এনইআইআর?

ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার বা NEIR হলো এমন একটি কেন্দ্রীয় ডেটাবেস, যেখানে দেশের সব বৈধ মোবাইল ফোনের IMEI (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) নম্বর সংরক্ষিত থাকবে। প্রতিটি ফোনের নিজস্ব IMEI নম্বরই তার ‘ডিজিটাল পরিচয়পত্র’। এই নম্বর যদি সরকার অনুমোদিত ডেটাবেসে নিবন্ধিত না থাকে, তাহলে সেটি কোনো মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে পারবে না। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মতে, NEIR ব্যবস্থার মাধ্যমে শুধু বৈধ ফোনই নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হবে। ফলে, চুরি হওয়া বা অবৈধভাবে আমদানি করা হ্যান্ডসেট আর ব্যবহারযোগ্য থাকবে না।

কাদের ফোন বন্ধ হয়ে যাবে?

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখনো বিপুলসংখ্যক অনিবন্ধিত হ্যান্ডসেট ব্যবহার হচ্ছে। এদের মধ্যে অনেক ফোন বিদেশ থেকে ব্যক্তিগতভাবে আনা, কিছু উপহার পাওয়া, আবার কিছু নকল ব্র্যান্ড বা ক্লোন মডেল। NEIR চালু হলে এসব অনিবন্ধিত ফোন ক্রমেই নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। অর্থাৎ, ফোনটি চালু থাকলেও সেটি দিয়ে কল করা বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে না। তবে আতঙ্কের কিছু নেই। যারা বৈধভাবে ফোন কিনেছেন; কিন্তু এখনো নিবন্ধন করেননি, তারা ১৬ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত ফোনটি নিবন্ধন করতে পারবেন। বিটিআরসি শিগগির এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রক্রিয়া ঘোষণা করবে।

কীভাবে বুঝবেন আপনার ফোন নিবন্ধিত কি না?

ফোনের নিবন্ধন অবস্থা জানার সহজ পদ্ধতি—

IMEI নম্বর (যা পাওয়া যায় *#06# ডায়াল করলে) লিখে SMS পাঠাতে হবে 16002 নম্বরে, ফরম্যাট হবেÑ

KYD <space> IMEI নম্বর। উত্তরে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার ফোনটি বৈধ বা নিবন্ধিত নাকি অনিবন্ধিত।

কেন দরকার এই ব্যবস্থা?

আমদানির পাশাপাশি ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে মোবাইল উৎপাদনের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে দেশি-বিদেশি মিলে প্রায় ১৭টি মোবাইল কারখানা দেশে মোবাইল উৎপাদন করছে। তবে মোবাইল বাজারের ৬০ শতাংশ এখন অবৈধ ফোন সেটের দখলে। এতে বাংলাদেশ রাজস্ব হারাচ্ছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে, বাংলাদেশে প্রতিবছর হাজার হাজার ফোন চুরি হয় এবং এর অনেক আবার বিক্রি হয় বা ক্লোন করা মডেল হিসেবে বাজারে আসে। এই অবৈধ বাজার আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি নিরাপত্তাঝুঁকিও তৈরি করে। NEIR চালু হলে চুরি হওয়া ফোন ট্র্যাক করা সহজ হবে আর অবৈধ আমদানিকারকদের দৌরাত্ম্য অনেকটাই কমে যাবে।

ব্যবসায় ও ভোক্তার প্রভাব

মোবাইল বিক্রেতারা মনে করছেন, শুরুতে কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হলেও দীর্ঘ মেয়াদে এটি বাজারে স্বচ্ছতা ও আস্থা ফিরিয়ে আনবে। ভোক্তাদের জন্য এটি নিশ্চয়তা দেবে, যে ফোন তারা কিনছেন, সেটি আসল ও নিরাপদ।

এখন উপায়!

বিটিআরসি জানিয়েছে, ১৬ ডিসেম্বরের পর কোনো অনিবন্ধিত ফোন আর নেটওয়ার্কে কাজ করবে না। তাই যারা বিদেশ থেকে আনানো, উপহার পাওয়া বা পুরোনো কোনো ফোন ব্যবহার করছেন, তারা যেন দ্রুত নিজের ফোনের IMEI নম্বর যাচাই করেন এবং প্রয়োজনে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন।

তার থেকে তরঙ্গ: যোগাযোগ প্রযুক্তির রূপান্তর

স্মার্টফোনপ্রেমীদের জন্য ‘উইন্টার ডিলস’ ক্যাম্পেইন

ডেটিং অ্যাপে প্রতারণা

কিভাবে সুরক্ষিত রাখবেন আপনার সামাজিক মাধ্যম

এআই যুগে এবার আইবিএম থেকে ছাঁটাই ৮ হাজার

জেমিনি এবার ব্যবহারকারীর ইমেইল ও ডকুমেন্ট পড়বে

সাইবার অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু: ফয়েজ

এআই কি সত্যিই কেড়ে নিচ্ছে আমার-আপনার চাকরি

গুগল ক্রোমে এআই মোড এখন আরও সহজ

অচেনা এলাকায় ঘোরাঘুরি আরো সহজ করবে গুগল ম্যাপ