হোম > জাতীয়

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের আদ্যোপান্ত আমরা বের করেছি

সংবাদ সম্মেলনে স্বাধীন তদন্ত কমিশন

স্টাফ রিপোর্টার

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিডিআর বিদ্রোহের নামে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের আদ্যোপান্ত বের করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে এ বিষয়ে গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন।

গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান। এর আগে কমিশন তাদের প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত কেন বিডিআর হত্যাকাণ্ড হয়েছিল? কারা জড়িত? কারা এটা ঘটাচ্ছে? এর স্বরূপ কী? প্রকৃতি কী? কেন এটা হলো? কারা দায়ী? কীভাবে এটা প্রিভেন্ট করা যেত? যেত কী যেত না? কেন সেনাবাহিনী সামরিক পদক্ষেপ নিল না? কেন পলিটিক্যাল ডিসিশন হলো? এবং কীভাবে ষড়যন্ত্র দানা বেঁধেছিল? কারা এর সঙ্গে জড়িত? সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ- আমরা তাদের আদ্যোপান্ত বের করতে সক্ষম হয়েছি।’

ফজলুর রহমান বলেন, ‘আজকে আমরা জানি কেন এই বিডিআর হত্যাকাণ্ড হয়েছে। আমি যে আমরা আজকে যে তদন্ত রিপোর্ট আমরা তদন্ত রিপোর্ট সাবমিট করলাম। এখানে আমরা সিকিউরিটি ক্লাসিফিকেশন আনক্লাস করছি। মানে এটা কোনো সিকিউরিটি ক্লাসিফিকেশন আমরা দেইনি। তিনি বলেন, ‘সেখানে মিডিয়া, সেনাবাহিনী, অন্যান্য বাহিনী, প্রশাসন, পুলিশের কী রোল ছিল- এগুলো সব আমরা এখানে তুলে ধরেছি।’

প্রতিবেদন তৈরির পুরো প্রক্রিয়া তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমরা মোট সাক্ষী গ্রহণ করছি ২৪৭ জনের, শহীদ পরিবারের সদস্যের জবানবন্দি নিয়েছি ১৪ জন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ১০ জন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা দুজন, সামরিক কর্মকর্তা ১৩০ জন, অসামরিক কর্মকর্তা চারজন, পুলিশ কর্মকর্তা ২২ জন, বেসামরিক ব্যক্তি নয়জন, সাবেক ও বর্তমান বিডিআর ও বিজিবির সদস্য ২২ জন, কারাগারে আটক ২৬ জন, জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী একজন, সাংবাদিক তিনজন।

তদন্ত কমিশনের প্রধান বলেন, প্রতিবেদন তৈরির জন্য ভিডিও রেকর্ডিং ও ভিডিও রেকর্ডিংয়ের রিভিউ ও অডিও ট্রান্সক্রিবশনে ৬০০ ঘণ্টা আমরা ব্যয় করেছি। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া স্থিরচিত্র বা ছবি প্রায় ৮০০, খবরের কাগজে প্রচারিত সংবাদ ২১৫, পত্রালাপের সংখ্যা ৯০৫টি প্রতি মাসে ৮৯টি করে আমরা পত্র লিখেছি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে। মোট ২৭টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের পত্রালাপ হয়েছে।

গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই, এনএসআই ও আর্মির সহযোগিতা পাওয়া গেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘আমি আবারও আমার কমিশনের প্রত্যেকটি সদস্যকে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই যে, তারা নিজেরা স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে কারো আদেশের অপেক্ষা না করে এই কাজ সম্পন্ন করেছেন। আমরা শত শত চিঠি লিখেছি প্রায় বত্রিশ থেকে ছত্রিশটা সংগঠনের কাছে বিভিন্ন তথ্যের জন্য।

তিনি বলেন, ‘একটা উদাহরণ আমি দিই যে, একজন লোকের কাছে দেখা গেল যে, সিঙ্গাপুর থেকে এবং ভারত থেকে থেকে টেলিফোন এসেছে। ওটা চেক করার জন্য আমরা টেলিফোন কোম্পানিকে লিখছি- তারা এক মাস পরে, দুই মাস পরে আমাদের জানাচ্ছে, যে আমাদের কাছে তথ্য আছে। তখন আমরা বললাম- ওই লোকগুলো যারা ওই সময় ছিল তারা কোথায়? আবার এক মাস পরে তারা আমাদের কাছে চিঠি লিখে জানাচ্ছে- তারা পাঁচ বছর, কেউ বলছে দশ বছর হয় চলে গেছে। তাদের খুঁজে বের করে আমরা নিয়ে এসেছি।’

প্রতিবেদন তৈরিতে বিলম্বের অভিযোগ আনা ব্যক্তিদের উদ্দেশে কমিশন বলেছে, ‘এই রকম একটা পরিস্থিতিতে আপনাদের অনেকেরই মনে হতে পারে এটা- এগারো মাস সময় আমাদের কেন লাগল। তবে এটা এগারো মাস কেনো? আরো এগারো মাস দিলেও এর সময়ে কম হবে। তবে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি আমি। আমার কমিশন সদস্য যারা আছেন, তারা সবাই নিজেরা চেষ্টা করেছেন এবং তাদের কঠোর পরিশ্রম ও চেষ্টার ফলে এবং আমাকে তাদের সঙ্গে কাজ করার যে সুযোগ হয়েছে তার জন্য আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি।

কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান আরও বলেন, ‘সবাই আমরা একমত হয়েছি এই কমিশনের সমস্ত কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে এবং সবাই আমরা স্বাক্ষর করেছি চূড়ান্ত প্রতিবেদন এবং আজকে সেটা আমরা জাতির কাছে অর্পণ করলাম।’

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর শুরু

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালোর দিকে: উপদেষ্টা মাহফুজ

সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিক হত্যায় আসকের উদ্বেগ

সমুদ্রে অবৈধ আহরণে মাছের সংস্থান কমে যাচ্ছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

বুথ না বাড়ালে ভোটে দেখা দেবে বিশৃঙ্খলা

সেনা অভিযান হলে ভারতের হামলার হুমকি ছিলো

বঙ্গোপসাগরে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে নৌবাহিনীর বাৎসরিক মহড়া সমাপ্ত

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে দোয়া মাহফিল

বঞ্চিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের ন‍্যায়বিচার নিশ্চিত করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ জারি, পৃথক হলো বিচার বিভাগ