হাদির স্মরণে আলোচনা সভায় ওলামারা
শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদির স্মরণে সর্বদলীয় ওলামা মাশায়েখের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদি নিজের জীবন দিয়ে আমাদের সম্মান, স্বাধীনতা ও ন্যায়ের পক্ষে সাক্ষ্য রেখে গেছেন। তার রক্ত আমাদের মনে করিয়ে দেয়, অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করাই সত্যিকারের মানবিকতা।
তারা বলেন, শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সঙ্গে কারো সম্পর্ক ভালো নয়। আগ্রাসন শুধু অস্ত্রের আঘাত নয়— এটা ন্যায়, মানবতা ও বিবেকের ওপর আঘাত। কালচারাল আগ্রাসনের ব্যাপারে হাদি সবসময় আওয়াজ তুলতো। আমাদেরকে সাহসী হয়ে কালচারাল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, শহীদের রক্ত যেন আমাদের চরিত্রে, আচরণে ও সিদ্ধান্তে প্রতিফলিত হয়। প্রতিজ্ঞা ও দোয়া-আমরা তোমার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করছি— যুগে যুগে হাদিদের জন্ম হয়েছে আধিপত্যবাদীদের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য, আমাদের সুন্দরবন আমাদের হিল টেক্স, আমাদের রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, আমাদের করিডোর, আমাদের কাঁটাতারের বেড়া, আমাদের সীমান্তে ফেলানিদের হত্যার মত কোন নির্মম আগ্রাসন মেনে নেওয়া যাবে না। আজ থেকে আমাদের শপথ আমরা সবাই হাদি হবো। হাদি হয়েই আগ্রাসন রুখে দেবো। আলোচনা সভা শেষে দেশ বরেণ্য ওলামা-মাশায়েখরা শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করেন।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত ওলামা পরিষদের মহাসচিব মুফতি ড. খলিলুর রহমান মাদানী, ইসলামি কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের মহাসচিব মাওলানা ফয়েজুল্লাহ আশরাফী, ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, পরিষদের নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহ আবদুল মনিব নাসীরি, অধ্যক্ষ ড. মহিউদ্দিন আহম্মদ, অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম মিয়াজী, অধ্যক্ষ আবদুর রহমান আল আজহারী, অধ্যক্ষ মুফতি নুরুল আমিন, অধ্যক্ষ মুফতি আজহারুল ইসলাম, মুফতি শফিক বিন বাহাউদ্দিন, মুফতি আবদুল গনি, মাওলানা আনিসুর রহমান, মুফতি মোসতাজা বিল্লাহ, মুহাদ্দিস আবু হানিফ মিশারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মাওলানা নাজির মাহমুদ।