মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দ্রুত দেশে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে জুলাই ঐক্য। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে দেওয়া পাঁচ বছরের সাজা পুনর্বিবেচনারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার বিকেলে হাসিনার রায়-পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় জুলাই ঐক্যের নেতারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সমাজসেবা সম্পাদক ও জুলাই ঐক্যের সংগঠক এবি জুবায়ের বলেন, “আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ। খুনি হাসিনার ফাঁসির রায় হয়েছে- এটা জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি। কিন্তু আমরা দুঃখিত যে আমাদের ভাইদের ওপর ৩২ নম্বর এলাকায় হামলা করা হচ্ছে। জুলাই যোদ্ধাদের রক্তাক্ত করা হচ্ছে। অবিলম্বে এ ন্যাক্কারজনক হামলা বন্ধ করতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “যখন লীগের সন্ত্রাসীরা অগ্নিসন্ত্রাস করে তখন সবাই নীরব থাকে। অথচ আজ ছাত্রজনতা শান্তিপূর্ণভাবে ৩২ নম্বরে গেলে যৌথ বাহিনী হামলা চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং সরকারকে বলছি—অবিলম্বে ছাত্রদের ওপর হামলা বন্ধ করুন।”
সাবেক আইজিপি মামুনের রায়ের বিষয়ে জুবায়ের বলেন, “হাসিনাকে ফাঁসি দেওয়া হলেও পরিকল্পিতভাবে আইজিপি মামুনকে মাত্র পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। তাকে কেন রাজসাক্ষী করা হলো? এখানে কনস্টেবলদেরও রাজসাক্ষী করা যেত, যারা তার নির্দেশে গুলি চালিয়েছিল। তাই মামুনের রায় পুনর্বিবেচনা করতে হবে।”
আরেক সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী বলেন, “হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে কিছু গণমাধ্যম তাদের আসল চেহারা দেখাতে শুরু করেছে। ইত্তেফাক, আরটিভি, বাংলাদেশ জার্নালসহ কয়েকটি গণমাধ্যম নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হাসিনার বক্তব্য প্রচার করছে। সরকার যদি ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়, ছাত্রজনতা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ। উপস্থিত ছিলেন জুলাই ঐক্যের সংগঠক কবি বোরহান মাহমুদ, মুজাহিদুল ইসলাম (অন্তু মোজাহিদ), মাসুদুর রহমান, মুস্তফা হোসাইন ও সাদীল আহমেদসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলন শেষে শাহবাগে হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি প্রদর্শন ও মিষ্টি বিতরণ করে জুলাই ঐক্য এবং জাগ্রত জুলাই।