হোম > জাতীয়

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য করণীয় সব কিছুই করছে ইসি

সংলাপের দ্বিতীয় দিনে আনোয়ারুল ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য করণীয় সব কিছুই করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তিনি বলেন, একটি ভালো নির্বাচন করা ছাড়া আমাদের কাছে আর কোন বিকল্প নেই।

নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ভালো একটি নির্বাচন করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। সবার সহযোগিতায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির দ্বিতীয় দিনের সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন।

ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘নির্বাচনে আমাদের প্রায় ৯ লাখের মত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মাঠে থাকবে। থাকবে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মোবাইল কোর্ট, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, মনিটরিং টিম, অবজারভেশন টিমও মাঠে থাকবে। এগুলো সব নিয়ে আমরা মাঠে নামার পরিকল্পনা করেছি।

তিনি আরো বলেন, প্রায় ৪৩ হাজার প্রিজাইডিং অফিসারকে সারা বাংলাদেশ থেকে সিলেকশন করা হয়েছে। নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হচ্ছেন প্রধান। সেই প্রিজাইডিং অফিসার যাতে শক্ত হয়, নিরপেক্ষ হয়— সেভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনি আচরণবিধি শেষে দুইটা অঙ্গীকারনামা রয়েছে। একটা হলো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অঙ্গীকারনামা আর আরেকটা হলো প্রার্থীর। দেখবেন, এখানে প্রার্থিতা বাতিলসহ অন্যান্য বিষয় কঠিনভাবে অন্তর্ভুক্ত করেছি।

আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আরো বলেন, ‘আইন তো যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। এই আইন দিয়েই কিন্তু অতীতে ভালো নির্বাচন হয়েছে। এ ছাড়াও কিছু বিষয় রয়েছে যে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান। পুরো আসন বাতিলের বিধান। সেগুলো কিন্তু নিয়মে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন আগে যে ভুলগুলো করেছে, এই ভুলের স্তূপের পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে, আপনাদের সহযোগিতায় এই ভুলগুলোকে এক পাশে রেখে একটা ভালো নির্বাচন করব আর এ জন্য সবার সহযোগিতা চাই। সবার সহযোগিতায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত গণফোরাম, গণফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপ করে ইসি।

এরপর দুপুর দুইটা থেকে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, তৃণমূল বিএনপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সঙ্গে সংলাপ করছে ইসি।

এছাড়া সংলাপের তৃতীয় দিনে, আগামীকাল সোমবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ ১২টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের আলোচ্যসূচিতে থাকছে- নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলসমূহের করণীয়, তফশিল ঘোষণার পর আচরণবিধি প্রতিপালন, আচরণবিধি অনুসারে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারনামা সম্পাদন, প্রার্থীদের সঙ্গে রিটার্নিং অফিসারদের অঙ্গীকারনামা সম্পাদন, তফশিল ঘোষণার পর নির্বাচনি এজেন্ট নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা, মিসইনফর্মেশন ও ডিসইনফর্মেশন প্রতিরোধ, নির্বাচনে এআই’র অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভঙ্গ না করা, লিঙ্গ, বর্ণ ও ধর্ম নিয়ে কোন বৈষম্য না করা এবং ধর্মীয় উপসনালয়কে রাজনৈতিক প্রচারণার জন্য ব্যবহার না করা।

রাজধানীতে বিদেশি পিস্তলসহ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

হাসিনার রায় ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ধনী দেশগুলো প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে: মৎস্য উপদেষ্টা

ইউপি ইস্যুতে কাস্টমস বন্ড ব্যবস্থাপনা সিস্টেম ব্যবহারে বাধ্যতামূলক হচ্ছে: এনবিআর

ভয়ের সংস্কৃতি তৈরিতে আ.লীগ আমলে নিক্যাপিংয়ের পদ্ধতিগত চর্চা হয়েছে

শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন স্থানে মিছিল

গুলশানে রাজউকের মোবাইল কোর্ট, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি

রেলের সাবেক ডিজিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বাংলাদেশ–কাতার সশস্ত্র বাহিনীর প্রেষণ চুক্তি স্বাক্ষর