বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা ২০২৩ সালের পর থেকে কমছে। এই ধারা এ বছরও অব্যাহত রয়েছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে কক্সবাজারে শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিকল্প অর্থের উৎস খুঁজে নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেছেন মেডিসিন্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স/ডক্টরস উইদআউট বর্ডার্সের (এমএসএফ) এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ওরলা মারফি।
বাংলাদেশে জরুরি চিকিৎসা সেবায় এমএসএফের কার্যক্রমের নানা দিক নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের আয়োজন করা হয়।
ওরলা মারফি জানান, এমএসএফকে তহবিলের অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মতো দাতা গোষ্ঠী কিংবা সরকারের ওপর নির্ভর করতে হয় না। মূলত ব্যক্তিগত পরিসরে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে এমএসএফের ৯০ শতাংশ তহবিল সংগ্রহ করা হয়। ফলে সামগ্রিকভাবে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তায় ঘাটতি দেখা দিলেও এর রেশ এমএসএফের কর্মকাণ্ডে পড়েনি।
রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তায় তহবিল ঘাটতির বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে এমএসএফের প্রতিনিধি বলেন, পরিস্থিতি এখন যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে তাতে রোহিঙ্গাদের জন্য বিকল্প অর্থের সংস্থান খুঁজে নেওয়াটা জরুরি হয়ে গেছে। কারণ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। আবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসার প্রবণতাও বন্ধ হয়নি। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত অন্তত এক লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। ফলে রোহিঙ্গাদের জন্য চাপ তৈরি হচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের পরিবেশ হয়নি উল্লেখ করে ওরলা মারফি বলেন, ২০২৪ সালের জুন মাস থেকে রাখাইনে এমএসএফের মানবিক সহায়তা বন্ধ হয়ে গেছে। আর সেখানকার সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি যাই হোক না কেনো সেখানে মানবিক সহায়তা চালু রাখা প্রয়োজন।