‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযানে গত সাত দিনে পাঁচ হাজার ৯৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। এই সময়ে বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল হাসান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টায় এই অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭৮৩ জনকে। এছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২০ হাজার ৩৩৩টি মোটরসাইকেল ও ১৭ হাজার ৯২৩টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ৩৫৬টি অবৈধ মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর গত ১৩ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোর কমিটির সভায় এ অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়।
ওই দিন সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলমান। এটিকে আরও জোরদার ও বেগবান করার জন্য এবং ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের দমনের উদ্দেশ্যে কোর কমিটি ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ অবিলম্বে চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এর ১০ মাস আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করা হয়েছিল। গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে গাজীপুরসহ সারাদেশে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনা করা হয়।