আইনের সংঘাতে আসা শিশুদের সংশোধন ও উন্নয়নে সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত হওয়া ৩টি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে দ্বিগুণেরও বেশি নিবাসী রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশু নিবাসীর অবস্থান গাজীপুরের টঙ্গীর বালক শাখায়। ৩০০ আসনের ধারণ ক্ষমতা থাকলেও সেখানে বর্তমানে ৭৫০ শিশু রয়েছে। একইচিত্র যশোরের পুলেরহাট কেন্দ্রেরও।
মঙ্গলবার টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে (বালক) ‘শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের নিবাসীদের অধিকার সুরক্ষা ও সেবার মনোন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে এমনটি উঠে এসেছে। সেখানে বলা হয়, কেবল আবাসন সংকটই নয়, তাদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, আইনি সহায়তাসহ শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের নিবাসীদের সেবার মান বাড়াতে যুগোপযোগী অ্যাকশন প্লান করতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাইদুর রহমান খান। এতে সাইকোসোস্যাল কাউন্সিলিং আরো শক্তিশালী করা এবং পেশাদার সমাজকর্মীর স্বীকৃতির লক্ষ্যে এক্রিডেশন বডি গঠনে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইডিশ দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি পাওলো ক্যাস্ট্রো নেদারস্টাম এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের হেড অব চাইল্ড প্রটেকশন নাতালি ম্যাকলি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক লিপি গ্লোরিয়া রোজারিও, টঙ্গী কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক এমরান খান, কেন্দ্রের প্রবেশন অফিসার শাকিল মাহমুদ প্রমুখ।