চিকিৎসকদের ক্লিনিক্যাল দক্ষতা বাড়াতে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) অনুষ্ঠিত হয়েছে স্ট্রাকচার্ড ক্লিনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট (এসসিএ) বিষয়ক কর্মশালা। যা রোগীদের সেবার মান নিরূপণে ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম।
বৃহস্পতিবার বিএমইউতে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিষ্ঠানটিতে উচ্চমানের স্নাতকোত্তর শিক্ষা ও দক্ষ বিশেষজ্ঞ তৈরির, চলমান প্রচেষ্টাকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত হয় কর্মশালা। এতে সভাপতিত্ব করেন ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন।
শাহিনুল আলম বলেন, ‘শিক্ষার মানোন্নয়ন, মূল্যায়ন পদ্ধতির আধুনিকায়ন এবং আন্তর্জাতিক মানের বিশেষজ্ঞ তৈরির ক্ষেত্রে এসসিএ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যোগ। এটি শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল দক্ষতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এবং রোগী–কেন্দ্রিক সেবার মান নিরূপণে বৈজ্ঞানিক ও নির্ভরযোগ্য নির্দেশনা প্রদান করবে।’
আকরাম হোসেন বলেন, ‘বিএমইউ দক্ষ, নীতিনিষ্ঠ এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অনকোলজি বিশেষজ্ঞ তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আধুনিক মূল্যায়ন পদ্ধতি সেই প্রচেষ্টাকে আরো শক্তিশালী করবে।”
কর্মশালার ফ্যাকাল্টি সেশন পরিচালনা করেন, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস্ এন্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) মেডিকেল শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ও কাউন্সিল অধ্যাপক ডা. তাহমিনা বেগম ও বিএমইউ-এর পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাসেল আহমেদ খান।
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা এসসিএ’র দর্শন, স্টেশন ডেভেলপমেন্ট, মূল্যায়ন রুব্রিক, অবজেক্টিভ স্কোরিং এবং ফিডব্যাক ব্যবস্থা নিয়ে হাতে–কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
কর্মশালায় বিএমইউ’র ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা সিএমএইচ ক্যানসার সেন্টার, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেডিওথেরাপি বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্লিনিক্যাল অনকোলজি, রেডিয়েশন অনকোলজি ও মেডিক্যাল অনকোলজি বিভাগের শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা গ্রুপভিত্তিক স্টেশন ডিজাইন, স্কোরিং পদ্ধতি ও ফিডব্যাক মেকানিজম নিয়ে কার্যকর গ্রুপ–ওয়ার্ক সম্পাদন করেন।