সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চিরবিদায় নিয়েছেন। তার জানাজা আজ বুধবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ তথা সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ঢাকার বিভিন প্রান্ত থেকে লাখো মানুষ দলে দলে খালেদা জিয়ার জানাজায় যোগ দিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে উপস্থিত হচ্ছেন।
সেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আজ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে খালেদা জিয়ার পুরনো ভাষণ। যেখানে তিনি পলাতক হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, শেখ হাসিনার উচিত লেন্দুপ দর্জির করুণ ইতিহাস পড়া। ভাষণে তিনি বলেছিলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের শিকার সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের কান্না , শাপলা চত্বরে নিহত আলেমদের পরিবারের কান্না, নিহতদের সন্তানদের কান্না শেখ হাসিনার কানে যায় না। বাংলাদেশের ওপর কারো প্রভুত্ব মেনে নেবো না।
২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর, যখন বালুর ট্রাক দিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করা হয়েছিল, গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’র সামনে দাঁড়িয়ে তার দেওয়া সেই ভাষণই আজ আবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বারবার বেজে উঠছে।
ওই ভাষণে তিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার উদ্দেশে আরো বলেছিলেন, “গোলামী করবেন? দালালি করবেন? এই গোলামী তো রাখবে না। লেন্দুপ দর্জির (সিকিমের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী) ইতিহাসটা পড়ে দেখেন। সেও কিন্তু টেকে নাই বেশি দিন। তাকেও বিদায় দিয়েছে। দালালি করে… দেশ বিক্রি করে…। কাজেই এই দেশ বিক্রি চলবে না হাসিনার। আর হাসিনার দালালি করে লাভ হবে না। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে থাকেন। জনগণের সঙ্গে থাকেন। দেশের মানুষের সঙ্গে থাকেন। তবেই কাজে দেবে। দেশ বাঁচবে, মানুষ বাঁচবে।”
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপসহীন নেত্রী আরো বলেছিলেন, “আজকে সকলের দায়িত্ব হয়ে গেছে- দেশ বাঁচানো, মানুষ বাঁচানো। আর আপনারা ঘরে ঘরে ঢুকে এখন মানুষ হত্যা করছেন। মনে করে যে এগুলোর হিসাব নেই… এই মা বোনোর কান্না, এই আলেম এতিমের কান্না, এই বিডিআরের অফিসারদের ওয়াইফদের কান্না… এগুলো কি বৃথা যাবে? এগুলো কোনো দিনও বৃথা যাবে না।”
এসআর