সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ শুক্রবার। যথাযথ মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হবে। এ উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তিন বাহিনীর প্রধানরা। আরো বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ বাদ ফজর বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। এরপর সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও তিন বাহিনীর প্রধান।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা তার ঢাকা সেনানিবাসের কার্যালয়ে তিন বাহিনী প্রধানদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। বাহিনী প্রধানরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে বিকাল ৪টায় সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এতে সরকারের উপদেষ্টাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রধান বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতাসহ সমাজের বিশিষ্টজন অংশ নেবেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও এই সংবর্ধনায় যোগ দেবেন বলে দলটির সূত্র জানিয়েছে।
ঢাকা ছাড়াও দেশের অন্যান্য সেনানিবাস ও ঘাঁটিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ঢাকা, খুলনা, চাঁদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর জাহাজগুলো সর্বসাধারণের দেখার জন্য ঘাটে নোঙর করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টার বাণী
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস তার বাণীতে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা ২১ নভেম্বর সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের সূচনা করেন। মুক্তিবাহিনী, বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা ও দেশপ্রেমিক জনতা এই সমন্বিত আক্রমণে অংশ নেন। হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি।
ড. ইউনূস বাণীতে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, শিল্পকারখানায় নিরাপত্তা প্রদানসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র উদ্ধারসহ সব কার্যক্রমে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, গত ১৫ মাসে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সশস্ত্র বাহিনীর অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে একত্রে কাজ করে যাবে বলে তিনি আশা করেন।
এদিকে তারেক রহমান বাণীতে সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্য ও তাদের পরিবারের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন। তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান শহীদ জিয়াউর রহমান সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে একটি প্রযুক্তিনির্ভর, গতিশীল ও দক্ষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেন। তিনিই বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে সুশিক্ষিত ও পেশাদার বাহিনীতে পরিণত করেছিলেন।