হোম > জাতীয়

প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত

রোববার থেকে পরীক্ষা

আমার দেশ অনলাইন

তিন দফা দাবি আদায়ে লাগাতার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টায় আন্দোলনকারী শিক্ষক নেতা ও প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক শাহীনুর আল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শাটডাউন কর্মসূচি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পরে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের ১৬ জন আহবায়কের যৌথ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠিয়ে সারাদেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিতকরণের কথাও জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্য ৩ দফা দাবি আদায়ে বাস্তবায়ন পরিষদ এবং সংগঠন ঐক্য পরিষদ এর চলমান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আগামী রোববার থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারাদেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। ফলে আগামী রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে।

উভয় পরিষদের আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৯টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটির বেশি। শিক্ষক রয়েছেন পৌনে চার লাখের বেশি। সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদ ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২১৬টি, বর্তমানে কর্মরত ৩ লাখ ৫২ হাজার ২০৮ জন। এসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকেরা পাঠদান করেন।

প্রাথমিক শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো— সহকারী শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেল আপাতত ১১তম গ্রেড দেওয়া, চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতার নিরসন এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি দেওয়া। বর্তমানে সহকারী শিক্ষকেরা ১৩তম গ্রেডে আছেন।

গত ২৭ নভেম্বর তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’। গত সোমবার তারা বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচিও শুরু করে। এই পরিষদ বুধবার থেকে বিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করে।

প্রায় একই দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের আরেকটি সংগঠন ‘সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে ২৩ থেকে ২৭ নভেম্বর কর্মবিরতি পালন করেছিল। বৃহস্পতিবার থেকে তারাও বিদ্যালয়ে ‘তালাবদ্ধ’ কর্মসূচি শুরু করে। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনের মতো দেশের অনেক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হয়নি। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষকেরা নিজেরাই ফটকে তালা লাগিয়ে দেন।

এর মধ্যে কোথাও কোথাও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় তালা ভেঙে পরীক্ষা হয়েছে। পুলিশ ও আনসারের পাহারায়ও পরীক্ষা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কিছু বিদ্যালয়ে ‘কোনোরকম’ পরীক্ষা হলেও উত্তরপত্র মূল্যায়ন সঠিকভাবে হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। সব মিলিয়ে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলমান তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) বড় রকমের সমস্যায় পড়ে।

বার্ষিক পরীক্ষার মধ্যে এই কর্মবিরতিতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতির মুখে পড়ে। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে আন্দোলন দমাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কঠোর অবস্থানে যায়। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষক নেতাসহ বৃহস্পতিবার বেশ কিছুসংখ্যক শিক্ষককে ‘প্রশাসনিক কারণে’ এক জেলা থেকে আরেক জেলায় বদলি করা হয়েছে।

এ রকম এক পরিস্থিতিতে শিক্ষকেরা চলমান ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। অবশ্য শিক্ষকেরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্ব তুলে ধরে সরকারি ডকুমেন্টারি প্রকাশ

আন্দোলনের নেতাসহ প্রাথমিকের ৫ শতাধিক শিক্ষককে ভিন্ন জেলায় গণবদলি

প্রধান উপদেষ্টাকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর ফোন

সরকারের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও সরকারি প্রাথমিকে আন্দোলন

বিটিআরসির জাতীয় গণশুনানি কনভেতে

পেঁয়াজের দাম বাড়ল ৩০ টাকা, তীব্র হচ্ছে আমদানির চাপ

জায়গা সংকটে সরকারি ভবনের নিচতলায় ফায়ার স্টেশন করার প্রস্তাব

২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইজিপিকে অপসারণে আইনি নোটিশ, নেপথ্যে যে কারণ

রোগীর সেবার মান নিরূপণে ভূমিকা রাখবে এসসিএ: বিএমইউ উপাচার্য

গঠন হচ্ছে পুলিশ কমিশন, অধ্যাদেশ অনুমোদন