রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এ সময় তারা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন।
রোববার সকালে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। পাশাপাশি বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। জাতির ইতিহাসের এক শোকাবহ ও বেদনাবিধুর দিন। পরাজয় নিশ্চিত জেনে ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পরিকল্পিতভাবে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে। দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিল্পী ও শিক্ষকসহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তুলে নেয় পাক বাহিনী। এরপর তাদের চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়। পরে তাদের লাশ রায়েরবাজার, মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন বধ্যভূমিতে ফেলে রাখা হয়।
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের মাত্র দুদিন পর ১৬ ডিসেম্বর, জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। এরই মধ্য দিয়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। তবে স্বাধীনতার প্রাক্কালে জাতির মেধাবী সন্তানদের হারানোর ক্ষত আজও বয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে সরকারিভাবে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পৃথক বাণী দিয়েছেন।