হোম > জাতীয়

টেলিটকের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ নেটওয়ার্ক সমস্যা

আল-আমিন

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর টেলিটক গত ১ অক্টোবর সোশ্যাল মিডিয়ায় পূর্বঘোষিত ভার্চুয়াল গণশুনানির আয়োজন করে। শুনানিতে অংশ নেওয়া অধিকাংশ গ্রাহকই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নেটওয়ার্ক সমস্যার অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, কথোপকথন স্পষ্ট হয় না, কলড্রপ হয় ঘন ঘন।

এছাড়া টেলিটকের রিচার্জ পয়েন্টের স্বল্পতা, ডেটা প্যাক ক্রয়ের পরও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারা এবং কাস্টমার কেয়ারের অপ্রতুল সেবা নিয়েও অসন্তোষ জানান গ্রাহকরা। পাহাড় ও হাওর অঞ্চলে টেলিটকের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সিম সংকট এবং ৩৫০-৪০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত মূল্যে সিম বিক্রির অভিযোগও উঠে আসে।

জানা গেছে, শুনানিতে ছিলেন ১০০ জনের কম অংশগ্রহণকারী। তবে তাদের মধ্যে কথা বলার সুযোগ পান মাত্র ১৩ জন। অনেক গ্রাহক সময় কম পাওয়ার অভিযোগ করে শুনানির মাঝেই বেরিয়ে যান। কেউ কেউ টেলিটককে ‘খাড়া গাছ’ বলে মন্তব্য করেন।

কর্তৃপক্ষ বলছে, রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটকের সেবা নেওয়ার ব্যাপারে মানুষের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু টাওয়ার সংকট, বাজেট না থাকা, ইন্টারনেট সেবার মান কম থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানটি শক্তভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না।

এ বিষয়ে টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী বৃহস্পতিবার রাতে আমার দেশকে জানান, আমাদের মূল সমস্যা নেটওয়ার্ক। গণশুনানিতে গ্রাহকরা তাদের অভিযোগ দিয়েছেন। আমাদের পরিকল্পনা বিভাগ সেগুলো নোট করেছে। ধাপে ধাপে সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

রাজশাহী অঞ্চলের সোহেল নামে এক গ্রাহক জানান, আমার এলাকায় কারেন্ট গেলেই নেটওয়ার্ক হাওয়া! এক সেকেন্ডের জন্য কারেন্ট গেলেও নেটওয়ার্ক চলে যায়। টাওয়ারে ব্যাটারি ব্যাকআপ নেই। সাভারের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, রিচার্জ পয়েন্ট নেই। ২০ টাকা লোড করতে গেলে কেউ কি ৫০০ টাকা বিকাশে ক্যাশ ইন করবে?

শামসুল নামে আরেক গ্রাহক অভিযোগ করলেন, পাহাড়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক ভালো। তবে চাহিদা বেশি হলেও সিম সংকট এবং বাড়তি দামে বিক্রির কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। নীলফারীর বাসিন্দা সবুজ জানান, ডোমার অঞ্চলে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। এমবি কিনেও ব্যবহার করা যায় না। ঝালকাঠির সুমন বলেন, টেলিটকের অফিসের পাশেই থাকেন, তবু থ্রিজি-ফোরজি কোনোটিই ঠিকমতো পাওয়া যায় না। রিচার্জ পয়েন্টও প্রায় নেই বললেই চলে। শুনানিতে এক প্রবাসীও টেলিটক সেবা নিয়ে আপত্তি জানান।

টেলিটকের একাধিক কর্মকর্তার ভাষ্য, সারা দেশে টাওয়ার সংখ্যা সীমিত হওয়ায় বিস্তৃত নেটওয়ার্ক কাভারেজ নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানটি হিমশিম খাচ্ছে। বর্তমানে ফোরজি টাওয়ার প্রায় চার হাজার ৭৬০টি; চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে তা পাঁচ হাজার ৭৬০-এ উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

সূত্র জানায়, দেশে প্রথম অনলাইন ভর্তি আবেদন, চাকরির আবেদন, অনলাইন বিল পরিশোধের মতো জনবান্ধব সেবা চালু করে টেলিটক। বিদেশি অপারেটরদের যেখানে বিনিয়োগ ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি, সেখানে টেলিটক মাত্র ছয় হাজার কোটি টাকায় সীমাবদ্ধ সুবিধায় দেশের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। ৭০০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম টেলিটকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; কারণ এটি মোবাইল নেটওয়ার্কের সবচেয়ে শক্তিশালী কভারেজ ব্যান্ড, যা কম টাওয়ারে বিস্তৃত এলাকা কাভার করতে পারে এবং দুর্গম ও গ্রামীণ অঞ্চলে স্থিতিশীল সিগন্যাল নিশ্চিত করে।

জানা গেছে, সরকার নেটওয়ার্ক সমস্যা সমাধানে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। টাওয়ার বৃদ্ধি, রিচার্জ পয়েন্ট বাড়ানো এবং গ্রাহকের অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য কাজ করছে টেলিটকের পরিকল্পনা বিভাগ।

হাদির কিছু হলে সেদিনই সরকারের শেষদিন হবে : ইনকিলাব মঞ্চ

তিন দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা ডাকসুর

আসামিরা গ্রেপ্তার না হলে স্বরাষ্ট্র ও আইন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

খুনিদের হস্তান্তরে অসহযোগিতা করলে ভারতীয় দূতাবাস চলবে না

হাদিকে গুলি করা ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও ৩ জন গ্রেপ্তার

জুলাইযোদ্ধা ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুর নেয়া হচ্ছে সোমবার

আনিস আলমগীরকে ছেড়ে দিলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও

বাংলা টিভির এমডি সামাদুল হকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে বাংলাদেশ

ডিবি হেফাজতে আনিস আলমগীর