দশম গ্রেডের দাবি পূরণের আশ্বাসের ছয় মাস পার হলেও এখনো বাস্তবায়ন না হওয়ায় এবার কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের অগ্রগতি দ্রুত না হলে এ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে লাগাতার কর্মবিরতির প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।
আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরাম (এমটিএফ) কেন্দ্রীয় কমিটির মানববন্ধনে এই হুঁশিয়ারি দেন টেকনোলজিস্টরা।
মিয়া মো. গোলাম মাওলার সভাপতিত্বে ও মো. মাসুম রেজার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট নেতৃবৃন্দ। বক্তব্য রাখেন সোহেল হাওলাদার, রফিকুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন, আ. কারীম, মোজাম্মেল রাসেল, রায়হান, মিতুল প্রমুখ। ঢাকা মহানগরীর কয়েক শ’ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট এতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সোহেল রানা বলেন, ‘সমশিক্ষিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও নার্সদের ন্যায় ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন না করে বৈষম্য করা হয়েছে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়নের কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের অগ্রগতি দ্রুত না হলে এ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিতে বাধ্য হবো আমরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাবরেটরি ও ইমেজিং বিভাগ দুই শিফটে চালু করলে রোগীর চিকিৎসা সেবা সহজ ও দ্রুত করা যাবে। এতে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে। একই সঙ্গে একই নমুনা বিভিন্ন ল্যাবে পরীক্ষা করার ফলে রিপোর্টে অমিল দূর করতে সকল স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসার বা সায়েন্টিফিক অফিসার পদ সৃষ্টি করে গ্রাজুয়েট মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ দিতে হবে।’
জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরে দশম গ্রেডসহ হাসপাতালে ল্যাবরেটরিতে দুই শিফট চালুর দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে আন্দোলনে নামেন টেকনোলজিস্টরা। পরে তারা স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে স্মারকলিপিও দেন। চলতি বছরের মে মাসে দাবি আদায়ে মানববন্ধনের পাশাপাশি এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেন। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন টেকনোলজিস্টরা। তবে ছয় মাস পার হলেও কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় আবারও নতুন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিলেন তারা।
এসআর