একদিনের ব্যবধানে কমেছে এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। আগামী কয়েকদিন রাতের তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গতকাল বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগের দিনের তুলনায় এলাকাভেদে এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক গতকাল সন্ধ্যায় আমার দেশকে বলেন, এরই মধ্যে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে, বৃহস্পতিবার রাতের তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। এরপর আগামী শনিবার থেকে আরো কমে আসতে পারে। সবমিলিয়ে ধীরে ধীরে শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বেশ শীত পড়েছে বলে জানান তিনি।
নাজমুল হক বলেন, আগামী সপ্তাহে উত্তরাঞ্চলের দুয়েক জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে চলতি মাসের শেষ দিকে ও জানুয়ারির প্রথমার্ধে শৈত্যপ্রবাহ থাকবে।
তিনি আরো বলেন, সাধারণত এ সময়ে দেশে বেশ শীত থাকার কথা; কিন্তু নভেম্বরে বারবার বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপু ও দুটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্ট হওয়ায় উত্তর দিক থেকে বাতাস প্রবাহিত হতে দিচ্ছিল না। ফলে এবার শীতের আগমন একটু দেরিতে ঘটছে। তবে আশা করা যায়; আগামী ২/১ দিনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে যাবে এবং ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আরো কমে শীত পড়তে শুরু করবে।
এদিকে গতকাল থেকেই দেশের কিছু অঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে। এর ফলে আগামী ১০ থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)। বিশেষ করে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি নেমে আসার শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।
সংস্থাটি জানায়, রংপুর, রাজশাহী, সিলেট এবং খুলনা বিভাগের কিছু কিছু স্থানে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি নেমে আসতে পারে এবং বাকি এলাকাগুলোতে ১৩ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে।
এছাড়া পঞ্চগড়, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, যশোর, রংপুর ও শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি নামতে পারে। পাশাপাশি ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ স্থানে রাতের তাপমাত্রা নেমে ১৩ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে।
সংস্থাটি জানায়, এ সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে আসার সম্ভাবনা কম। তবে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দু-এক জায়গায় খুবই অল্প সময়ের জন্য তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের রূপ নিলেও নিতে পারে। এই পরিস্থিতি নির্ভর করবে ওই সময়ের আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর। তবে, এর কিছুদিন পরেই দেশে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ সক্রিয় হতে পারে।