হোম > প্রকৃতি ও পরিবেশ

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’র প্রভাবে চারদিন টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস

স্টাফ রিপোর্টার

পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরও শক্তি সঞ্চয় করছে। এটি মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। তবে বিশেষ বড় ধরনের কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ভারতের আবহাওয়াবিদদের মতে, মঙ্গলবার রাতে অন্ধ্র উপকূলে ১১০ কিলোমিটার গতিতে এর ল্যান্ডফল হতে পারে। আর তাই দক্ষিণ ভারতগামী একাধিক ট্রেনের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের তরফ থেকে। সংস্থাটির পক্ষে মোট ৬টি ট্রেন মঙ্গলবার তাদের নির্ধারিত সময়ের তুলনায় বেশ কয়েকঘণ্টা দেরিতে ছাড়বে বলে মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের খড়্গপুর ডিভিশনের পক্ষ থেকে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় এটি চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ১২৫০, কক্সবাজার থেকে ১২২০, মোংলা থেকে ১০৭৫ এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই সারাদেশের আকাশ মেঘলা রয়েছে। মঙ্গলবার নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে ৫৪ মিলিমিটার ও পটুয়াখালীতে ২ মিলিমিটার এবং রাজধানীতে ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল বুধবার থেকে সারাদেশেই বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে এবং আগামী ২ নভেম্বর নাগাদ এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করতে এবং গভীর সাগরে না যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামীকাল বুধবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের কিছু স্থানে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণও হতে পারে, যা ২ নভেম্বর অব্যাহত থাকতে পারে।

এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আমার দেশকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বুধবার থেকে সারাদেশেই বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে এবং আগামী ২ নভেম্বর নাগাদ এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।

অন্ধ্র প্রদেশের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যায়

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মন্থা, রাতেই যেসব স্থানে আঘাত হানতে পারে

ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’: গতিবিধি সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে

গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত, ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত

এবার শীত দেরিতে আসলেও হবে দীর্ঘ ও তীব্র

গভীর নিম্নচাপটি রাতেই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে

দশ বছরেই একশ বছরের বন, কী এই ‘মিয়াওয়াকি ফরেস্ট’

ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ

শক্তি সঞ্চয় করছে ঘুর্ণিঝড় ‘মন্থা’, গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে

মেঘলা থাকতে পারে আজ ঢাকার আকাশ