হোম > মতামত

সাহসী ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার অনন্য এক সংবাদপত্র

আমার দেশ নবযাত্রার এক বছর

সৈয়দ আবদাল আহমদ

সৈয়দ আবদাল আহমদ

বাংলাদেশে সাহসী ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার এক অনন্য নাম এখন আমার দেশ। নবযাত্রার এক বছরে পত্রিকাটি পাঠকের মন জয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যম জগতেও সৃষ্টি করেছে তুমুল আলোড়ন । বিশেষ করে পত্রিকার প্রতিদিনের সাড়া জাগানো ‘লিড নিউজ’ পাঠকের কাছে খবরের হটকেক বা বাড়তি এক আকর্ষণ।

দীর্ঘ ১১ বছর শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকার আমার দেশ বন্ধ করে রেখেছিল। জুলাইয়ের ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের পর ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর পত্রিকাটির নব অভিযাত্রা শুরু হয়। সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বে পুনঃপ্রকাশের প্রথম দিনেই দেশব্যাপী আলোড়ন তুলে আমার দেশ। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পালানো, বিগত সাড়ে ১৫ বছরের অনিয়ম-দুর্নীতি, টাকা পাচার, গুম, খুন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করা, রাজনৈতিক নিপীড়ন, অর্থনীতি ধ্বংস ও ব্যাংকিং সেক্টরের লুটপাটসহ অপশাসনের বিষয়গুলো এক বছর ধরে ‍ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরছে আমার দেশ। পাশাপাশি জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে পত্রিকাটি অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া রাষ্ট্র সংস্কারের পদক্ষেপ, সংবিধান সংশোধন এবং একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা এবং গণতন্ত্রে উত্তরণের ওপর জোরালো রিপোর্ট করে যাচ্ছে। দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য, ইসলামি মূল্যবোধ রক্ষা, আলেম সমাজকে গুরুত্ব দেওয়া এবং বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলার ব্যাপারেও পত্রিকাটি সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।

আমার দেশ ছাপা পত্রিকার পাশাপাশি ই-ভার্সন, অনলাইন পোর্টাল, ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুকের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও ভালো করছে। এসব প্ল্যাটফর্মে পাঠকদের চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত সংবাদ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সংবাদই শুধু নয়, খেলাধুলা, বিনোদন, শিক্ষা, সাহিত্য ও জীবনযাপনবিষয়ক বিভিন্ন পাতা নানা বয়সি পাঠককে আকর্ষণ করছে। পত্রিকাটিতে দেশের স্বনামধন্য লেখক, গবেষক এবং একঝাঁক মেধাবী তরুণ সাংবাদিক কাজ করছেন, যার কারণে সংবাদ ও লেখার গুণগত মান বজায় রাখতে সাহায্য করছে। আমার দেশ বাংলাদেশের অন্যতম শক্তিশালী ও জনপ্রিয় পত্রিকা হওয়ার পেছনে রয়েছে পত্রিকাটির নির্ভরযোগ্য সাংবাদিকতা। এছাড়া পত্রিকার সত্যনিষ্ঠ সাহসী সম্পাদক মাহমুদুর রহমানও পত্রিকাটি জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে আরেকটি কারণ। তার প্রতি বুধবারের মন্তব্য প্রতিবেদন পাঠকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় বিষয়। বস্তুনিষ্ঠ তথ্য পরিবেশনই পত্রিকাটিকে পাঠকের আস্থা অর্জন করতে সাহায্য করেছে। দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সামাজিক অনিয়মের বিরুদ্ধে আমার দেশ-এর সাহসী অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলো পত্রিকাটিকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য এনে দিয়েছে।

খবরের ক্ষেত্রে শুধু লিড নিউজই নয়, আমার দেশ-এর ধারাবাহিক সিরিজ রিপোর্টও পাঠকপ্রিয়তা অর্জনে ভূমিকা রেখেছে। এসব রিপোর্টের মধ্যে রয়েছে জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও আহতদের নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন, আওয়ামী শাসনামলে আলেম নিপীড়ন, ঢাকাসহ জেলায় জেলায় রাজনৈতিক নিপীড়ন, ৩০০ আসনের নির্বাচনি চিত্র এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর রিপোর্ট। আমাদের সিনিয়র রিপোর্টার রকীবুল হকের করা আওয়ামী শাসনে আলেম নিপীড়ন শীর্ষক ৪০টি রিপোর্ট আলেম সমাজের প্রশংসা পায়। তেমনি বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের নামে লাখ লাখ মামলা, গুম, খুন ও গায়েবি মামলার বিষয়গুলো পত্রিকায় তুলে ধরা হলে তা সাড়ে ১৫ বছরের অত্যাচারের নিষ্ঠুর বিবরণের চিত্র হিসেবে বিবেচিত হয়।

রোষানল থেকে আমার দেশ-এর নবযাত্রা

শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের আমলে আমার দেশ দুবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রথমবার ২০১০ সালে এবং দ্বিতীয়বার ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল। উভয় ক্ষেত্রেই সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। জুলাই বিপ্লবের পর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান তুরস্কে নির্বাসন থেকে দেশে ফিরে আসেন। পত্রিকার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল শূন্য থেকে। অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। যাবতীয় তথ্যভান্ডার, আর্কাইভস ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। তেজগাঁওয়ে পত্রিকার দুটি প্রেস লুটপাট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। মাত্র দুই মাসের প্রস্তুতিতে সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও পত্রিকার পরিশ্রমী সাংবাদিক কর্মচারীরা ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর এ পত্রিকাকে আবার পাঠকের হাতে তুলে দেন।

২০০৮ সালে আমার দেশ-এর দায়িত্ব নেওয়ার পর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এ পত্রিকা হবে দেশ ও জনগণের প্রকৃত কণ্ঠস্বর। জাতীয় স্বার্থের ব্যাপারে এ পত্রিকা কোনো আপস করবে না। পত্রিকাটি সবসময় কালোকে কালো এবং সাদাকে সাদা বলবে। সাহসের সঙ্গে অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশ করবে। সত্য প্রকাশে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। এই নীতিমালার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সাল থেকে আমার দেশ-এ প্রকাশ হতে থাকে অনিয়ম-দুর্নীতি, লুটপাট, মানবাধিকার লঙ্ঘন, ক্ষমতার অপব্যবহার, খুন, গুম, বিচারহীনতার সংস্কৃতি, সীমান্তে বিএসএফের হত্যাযজ্ঞ, প্রতিবেশী ভারতের আগ্রাসী নীতি, মামলা-হামলা, নির্বাচন জালিয়াতিসহ সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে বস্তুনিষ্ঠ সব রিপোর্ট। একই সঙ্গে প্রতি সপ্তাহে প্রকাশ হতে থাকে মাহমুদুর রহমানের মন্তব্য প্রতিবেদন। ‘বিচারপতির স্কাইপ কেলেঙ্কারি’, ‘চেম্বার জজ মানে সরকার পক্ষের স্টে’, ‘শাহবাগে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি’ ইত্যাদি অসংখ্য সাড়া জাগানো রিপোর্টের কারণে আমার দেশ যেমন তুমুল জনপ্রিয় পত্রিকা হয়ে ওঠে, তেমনি পত্রিকাটি ও সম্পাদক সরকারের রোষানলে পড়েন। শেখ হাসিনার সরকার ও সরকারদলীয় লোকজন এবং গোটা রাষ্ট্রযন্ত্র আমার দেশ ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। শারীরিক আক্রমণের শিকার হওয়া ছাড়াও সরকারের জেল-জুলুমের শিকার হন মাহমুদুর রহমান। দু-দফায় পাঁচ বছরের বেশি তাকে কারাবন্দি করে রাখা হয়। ৩৮ দিন রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। তার বিরুদ্ধে ১২৪টি মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। নিজ অফিসে প্রায় তিন মাস অবরুদ্ধ ছিলেন তিনি। আগেই লিখেছি, কারওয়ান বাজার বিএসইসি ভবনে আমার দেশ অফিসে রহস্যজনক আগুন লাগিয়ে পত্রিকা অফিস পুড়িয়ে সব রেকর্ডপত্র ও রেফারেন্স ধ্বংস করে দেওয়া হয়। তেজগাঁওয়ে আমার দেশ-এর নিজস্ব ছাপাখানা সিলগালা করে পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। মাহমুদুর রহমানের মা এবং স্ত্রীর নামেও দেওয়া হয় মামলা। দ্বিতীয় দফায় জেল থেকে বের হয়ে মাহমুদুর রহমান দেশের বিভিন্ন আদালতে মামলায় হাজিরা দিতে যান। এমন একটি হাজিরা দিতে তিনি কুষ্টিয়ায় গিয়েছিলেন। কিন্তু কুষ্টিয়ার আদালত চত্বরেই মাহমুদুর রহমানকে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে তার ওপর হামলা চালিয়ে আওয়ামী দুর্বৃত্তরা তাকে রক্তাক্ত করে। প্রাণ বাঁচাতে তিনি নির্বাসনে চলে যান তুরস্কের ইস্তানবুলে। অবশেষে জুলাই বিপ্লবের পর মাহমুদুর রহমান ইস্তানবুল থেকে দেশে ফিরে এলে ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর পত্রিকা পুনঃপ্রকাশিত হয়। গত এক বছরে পত্রিকাটি দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সাংবাদিকতার চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে। মাহমুদুর রহমান সপ্তাহের প্রতি বুধবার পত্রিকার প্রথম পাতায় লিখে যাচ্ছেন তার একটির পর একটি সাড়া জাগানো মন্তব্য প্রতিবেদন।

প্রথম দিনে বাজিমাত

জুলাই ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন ও ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ইস্তানবুল থেকে দেশে ফিরেই ঘোষণা দেন আমার দেশ বের করা হবে। দীর্ঘ ১১ বছর বন্ধ থাকার পর মাত্র দুই মাসের প্রস্তুতিতে দেশব্যাপী পাঠকের হাতে তুলে দেওয়া হলো পত্রিকাটি। পত্রিকা প্রকাশের আগে রিপোর্টিং টিমকে নিয়ে বৈঠক করেছিলেন সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেছিলেন, পত্রিকার প্রথম দিন বা উদ্বোধনী সংখ্যায় এমন একটি লিড নিউজ থাকবে, যা পাঠকদের আলোড়িত করবে। সেদিন এই প্রতিবেদক চ্যালেঞ্জটি নিয়েছিলেন। রিপোর্টের বিষয় ঠিক করেছিলাম শেখ হাসিনার গণভবনের শেষ দুদিন ও ভারতে পলায়নের অজানা কথা। এক মাসের পরিশ্রমের ফল ছিল ওই লিড নিউজ, যার শিরোনাম সম্পাদক মাহমুদুর রহমান করেছিলেনÑ‘দিল্লিকে ঢাকা অ্যাটাক করতে বলেছিলেন শেখ হাসিনা’। ওই রিপোর্ট সেদিন দেশব্যাপীই ছিল একটি আলোচিত রিপোর্ট। শুধু দেশেই নয়, বিদেশে বাংলাভাষী পাঠকদের মধ্যেও ব্যাপক সাড়া জাগায় রিপোর্টটি। পাঠকরা কয়েক গুণ বেশি দাম দিয়ে সেদিন আমার দেশ সংগ্রহ করেন। ঢাকার অনেক পাঠক প্রথম দিন রাতে আমার দেশ-এর প্রেসে গিয়েও ভিড় জমান পত্রিকা হাতে পেতে। ইউটিউব চ্যানেলে এই লিড নিউজটির ভিউ হয় ৩৭ লাখ। প্রথম পাতায় জুলাই শহীদদের ছবি নিয়েও একটি রিপোর্ট করা হয়। এভাবে নবযাত্রার প্রথমদিনেই আমার দেশ সারা দেশে বাজিমাত করে।

সাড়া জাগানো লিড নিউজ

নবযাত্রার এক বছরে আমার দেশ ৩৫০টিরও বেশি লিড নিউজ করেছে। এসব লিড নিউজ গণমাধ্যম জগতে যেমন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়, তেমনি সরকার, প্রশাসন, রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ পাঠককেও অভিভূত করে। আজকের পত্রিকা পাঠ করে পাঠকরা কালকের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন কী লিড নিউজ আসে আমার দেশ-এ সেটা পড়ার জন্য। আগেই বলেছি, শেখ হাসিনার পলায়নের অজানা কথা দিয়ে পত্রিকার লিড নিউজ শুরু হয়। শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের অপশাসনের বড় বড় কেলেঙ্কারি, গুম, গণহত্যা, চাঞ্চল্যকর ঘটনা, টাকা পাচার, ব্যাংক লুটপাট ইত্যাদি বিষয় হয়ে দাঁড়ায় রিপোর্টের মূল বিষয়। রিপোর্টারদের একটি ‘ভাইব্র্যান্ট টিম’ বা দক্ষ ও উৎসাহী দল লিড নিউজগুলো পত্রিকার জন্য তুলে আনেন।

প্রথমে নিজেকে দিয়েই শুরু করি। পত্রিকায় নির্বাহী সম্পাদক হলেও একজন রিপোর্টার হিসেবে রিপোর্ট করতে আগ্রহ বোধ করি। রিপোর্ট করার সিদ্ধান্তের পেছনে কাজ করেছে শেখ হাসিনার আমলে যে বড় বড় ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো অনুসন্ধান করা। আগেই উল্লেখ করেছি, প্রথম দিনের লিড নিউজ ছিল ‘দিল্লিকে ঢাকা অ্যাটাক করতে বলেছিলেন হাসিনা’। এ রিপোর্ট ছাপা হওয়ার পর বেশ কয়েকজন দেশপ্রেমিক, যারা নিরাপত্তা বাহিনীতে কাজ করছেন এবং অতীতে কাজ করেছেন, তারা রিপোর্টটির ব্যাপারে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, ওই রিপোর্টটি খুবই ভালো হয়েছে, তবে এতে ৪-৫ শতাংশ অ্যারর রয়ে গেছে। তাদের মতে, এ রিপোর্টে ‘অ্যারর’ রাখা যাবে না। তাই তাদের সহযোগিতা নিয়ে আমার দ্বিতীয় রিপোর্ট ছিল ‘মোদির রেসকিউ মিশন হাসিনা’, যা ছিল খুবই সাড়া জাগানো রিপোর্ট। রিপোর্টটিতে শেখ হাসিনাকে ভারত সরকার, তাদের গোয়েন্দা বাহিনী ‘র’ ও এই দেশের এজেন্টদের মাধ্যমে যে ভারতে পালাতে সহযোগিতা করা হয়, সবিস্তারে তার বিবরণ রয়েছে। এরপর রিপোর্ট করি সংসদ ভবনের বাংকারে ১২ ঘণ্টা লুকিয়ে ছিলেন স্পিকার শিরীন শারমিন, বিডিআর হত্যার মাস্টারমাইন্ড হাসিনা গং, বিডিআর ম্যাসাকারের অন্যতম সন্দেহভাজন কর্নেল শামস, শাপলা গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন হাসিনা, ক্যান্টনমেন্টে জেনারেল তারিক সিদ্দিকের কাশিমবাজার কুঠি, ২০০৯ সালে হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্ব ছিল অবৈধ, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির পাঁচ ক্রিমিনাল, খায়রুল হকের রায়ের সুযোগে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় হাসিনা, বিমানবাহিনীর অভ্যন্তরের ‘র’ নেটওয়ার্ক ফাঁস, এনএসআই অভ্যন্তরে ‘র’ নেটওয়ার্ক, ‘র’ কো-অর্ডিনেটর লে. জেনারেল মুজিবের পলায়ন রহস্য, সচিবালয়ে হাসিনার পক্ষে আমলা বিদ্রোহের আশঙ্কা, সিরিয়াল কিলার জিয়াউলের শিকার ১০৩০ জন, গুমের অপরাধী সিন্ডিকেট এখনো বিচারের বাইরে, ‘মার্শাল ল জারি করছে না কেন’, আন্দোলন দমনে কর্নেল রাজীবকে গুলির নির্দেশ দেন হাসিনা, ‘সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ ইন্টেরিম’ ইত্যাদি সাড়া জাগানো রিপোর্ট। পত্রিকার প্রথমদিন ও দ্বিতীয় দিনে করা আমাদের সহযোগী সম্পাদক আলফাজ আনামের করাÑ‘বঙ্গভবনে সেদিন রাষ্ট্রপতি চুপ্পু কাঁপছিলেন,’ ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান : ইতিহাসে তোমরা অমলিন’ আলোচিত হয়।

আমার দেশ-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী অফিস নির্মাণ থেকে শুরু করে পত্রিকার ছাপা, সার্কুলেশন, অনলাইন, মাল্টিমিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি রিপোর্টও করেন। এর মধ্যে তার উল্লেখযোগ্য রিপোর্ট ছিলÑ‘ভারতীয় গোয়েন্দাদের নিয়ে বিডিআর হত্যার পরিকল্পনা হয় তাপসের অফিসে’ এবং ‘জাতিসংঘ রিপোর্ট আমাদের আশাবাদী করেছে’।

আমাদের বিশেষ প্রতিনিধি অলিউল্লাহ নোমান ইলিয়াস আলীকে গুম ও হত্যা করে লাশের টুকরোগুলো নদীতে ফেলে দেওয়া নিয়ে চাঞ্চল্যকর লিড রিপোর্ট দেন। কয়েক দিন আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস আলীকে গুম করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান। হত্যাকারীরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে তা স্বীকার করেন। এছাড়া গুম নিয়ে তার আরো কয়েকটি রিপোর্টও সাড়া জাগায়। গুম হওয়া সাড়ে তিনশ মানুষকে যে খুন করে ফেলা হয়েছে, তা নিয়েও রিপোর্ট করেছেন তিনি।

শেখ হাসিনার আমলে জঙ্গি অপপ্রচার চালিয়ে বড় বড় ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সেসব ঘটনা অনুসন্ধান করেছেন আমাদের সিনিয়র রিপোর্টার আবু সুফিয়ান। রিপোর্টগুলোতে তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা তখন ‘জঙ্গি নাটক’ সাজিয়েছিলেন এবং অনেক দেশপ্রেমিক, ভিন্নমতের মানুষ এবং নিরীহদের কীভাবে জঙ্গি তকমা দেওয়া হয়। আমার দেশ পুনঃপ্রকাশের পরদিনই তার লিড নিউজটি ছিল জাহাজবাড়ীতে তথাকথিত জঙ্গিবিরোধী অভিযানÑ‘ডিবি থেকে নিয়ে ৯ তরুণ খুন’। তেমনি বিনাবিচারে ছয় বছর জেলে মানারাতের দুই ছাত্রী, হোলি আর্টিসান ম্যাসাকার, ‘ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স রেডি সাবধানে কথা বলো’, গুম, খুনে হাসিনা ও সেনাচক্র, বগুড়ায় বিভীষিকাময় গোপন কারাগার, ‘রাষ্ট্রীয় জল্লাদ বাহিনী হয়ে ওঠে সোয়াট’, সামিট গ্রুপের দখলে ইন্টারনেট খাত তার উল্লেখযোগ্য লিড নিউজ।

জাতীয় স্বার্থ নিয়ে বেশ কিছু লিড নিউজ করেছেন আমার দেশ-এর বিশেষ প্রতিনিধি এমএ নোমান। পাঠকদের মধ্যে তার রিপোর্টগুলোও খুব সাড়া জাগায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেÑভারতকে উজাড় করে যা দিলেন হাসিনা, ভারতের আদানিকে দুই দফায় ১৬০০ একর জমি দেন হাসিনা, আদানিকে হাসিনার দেওয়া ৯০০ একর জমি নিয়ে বিপাকে সরকার, বিচারের বাইরেই থাকছে বিদ্যুৎ খাতের রাঘববোয়ালরা, ভারত ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে আসাদুজ্জামান কামাল, ফারাক্কা চুক্তির ২৮ বছর পরও পানির ন্যায্য হিস্যা পায়নি বাংলাদেশ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ঘিরে বিদেশিদের ‘মহাপরিকল্পনা’, আশীর্বাদ পেতে ভারতে ১৫ বছরে উজাড় করে যা দিয়েছেন শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়াকে শাস্তি দিয়ে পাঁচ বিচারপতির ভাগ্যের উন্নতি, মডেল মসজিদ প্রকল্পে আওয়ামী লীগের অঢেল দুর্নীতি, সব নদী থেকে পানি প্রত্যাহার করছে ভারত, কৃষিতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হাতে মারণাস্ত্র, রাষ্ট্রীয় অস্ত্রনীতির পতন নাকি সংঘাতের পূর্বাভাস, হাওরের বুক ফেঁড়ে হামিদ পরিবারের প্রমোদ সড়ক, অধস্তন আদালতে আওয়ামী লীগ আমলের ১৯৪১ বিচারক, ২ হাজার ১৮৫ বিচারকের মধ্যে ১৯৪১ জনই আওয়ামী লীগ আমলের, রোজ গার্ডেন : আওয়ামী দুর্নীতির নজিরবিহীন কাণ্ড, বঙ্গভবনের অঙ্গচ্ছেদ করে হামিদের সাঁতার বিলাস ইত্যাদি।

কূটনৈতিক রিপোর্টার বশীর আহমেদ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক, ভারতের আধিপত্যবাদী আচরণসহ পলাতক ফ্যাসিবাদী আওয়ামী নেতাদের নিয়ে বেশ কিছু রিপোর্ট করেছেন, যা পাঠকদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। উল্লেখযোগ্য লিড নিউজ হচ্ছেÑদিল্লিতে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়, কলকাতায় আওয়ামী পলাতকদের আস্তানা উদঘাটন।

অর্থনীতি ধ্বংস, ব্যাংক খাতে লুটপাট ও বিদেশে টাকা পাচার নিয়ে আমাদের বিজনেস টিমের প্রধান সৈয়দ মিজানের অন্তত ১৩টি লিড নিউজ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। যেমন : দরবেশ একাই লুটেছেন ৫৭ হাজার কোটি টাকা, এস আলমের ব্যাংক লুট, ব্যাংক লকার এখন কালো টাকার নিরাপদ আশ্রয়স্থল, ১ লাখ কোটি টাকা পাচারে মেঘনা গ্রুপ, ট্রানজিটের ফায়দা শুধু ভারতের, নূর-যাকের পরিবারের দখলে বিজ্ঞাপন বাজার, বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার। তেমনি কাওসার আলমের শেয়ারবাজার ধ্বংসে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ, রোহান রাজিবের ভারতীয়সহ ১৯ জনের তথ্য তলব দুদকের রিপোর্টগুলোও আলোচিত হয়েছে।

ডেপুটি চিফ রিপোর্টার এমরান এস হোসাইনের ১৫টি লিড নিউজের মধ্যে আলোচিত ছিলÑইভিএম প্রকল্পের তিন হাজার কোটি টাকা লুট, গর্ত থেকে গলা বের করছে আওয়ামী লীগ, সরকারি ওয়েব সাইটে এখনো বহাল ফ্যাসিবাদী বয়ান, ফের দিল্লির ছকে বাংলাদেশ ও ফ্যাসিবাদের দোসর জাপার ১৫ বছরের অপকর্ম।

সিনিয়র রিপোর্টার আল আমিনের ১৭টি লিড নিউজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেÑজুলাই গণহত্যায় র‌্যাবের অপারেশন ক্লিনডাউন, সাবেক ছয় জেনারেলের বিরুদ্ধে তদন্তে দুদক, বিএনপি ভাঙার মিশন ছিল ভুয়া গোয়েন্দা এনায়েতের, খুন-সন্ত্রাসের মাফিয়া ডন আসাদুজ্জামান খান কামাল, দিয়াবাড়িতে অস্ত্র উদ্ধার ছিল সাজানো নাটক, গণআন্দোলন বানচালে র‌্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ ইত্যাদি।

ওয়াসিম সিদ্দিকীর অনেকগুলো লিড নিউজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেÑভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ৫০ ব্যক্তি উচ্চঝুঁকিতে, এনায়েতের জবানবন্দিতে ষড়যন্ত্রের নেটওয়ার্ক ফাঁস, ফ্যাসিবাদী আমলে পুলিশ পদক পাওয়ার গল্প, পুলিশ প্রশাসনে এখনো দাপট মাফিয়া মনিরুলের।

রাজনৈতিক রিপোর্টের ক্ষেত্রে চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল, রকীবুল হক, জাহিদুল ইসলাম, মাহফুজ সাদির রিপোর্ট সাড়া জাগিয়েছে। মাহফুজ সাদির ৩০টি রিপোর্ট লিড ও ৫০টির মতো রিপোর্ট সেকেন্ড লিড হয়েছে। বাছির জামালের ‘বড় নির্বাচনির ঐক্যের পথে বিএনপি’ এবং ‘শেখ হাসিনার বিচার চায় সবাই’ আলোচিত হয়। বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেনও একটি সাড়া জাগানো লিড নিউজ করেন, যার শিরোনাম ছিল ‘ভারতীয় হাইকমিশনারদের বাংলাদেশবিদ্বেষ! সাইদুর রহমান রুমি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার ও বিচার বিভাগের অরাজকতা নিয়ে বেশ কিছু লিড নিউজ করেন। ‘শেখ হাসিনার ফাঁসির দণ্ড’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায় ও রায়ের পর্যালোচনা নিয়ে করা তার রিপোর্টও ছিল আলোচিত।

এছাড়া কবিতা, গাজী শাহনেওয়াজ, সরদার আনিছ, এমরানা আহমেদ, মাহমুদা ডলি, আজাদুল ইসলাম আদনান, নিজ নিজ বিটে এক বা একাধিক লিড নিউজ করেছেন, যা আলোচনায় এসেছে। ঢাকার বাইরে আমাদের চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ সোহাগ কুমার বিশ্বাস ইসকনের অপকর্মসহ অনেকগুলো লিড নিউজ করেছেন। তেমনি যশোরের আহসান কবীর, ময়মনসিংহের আবদুল কাইয়ুম, কুমিল্লার হাসানসহ অনেকেই ভালো ভালো রিপোর্ট করে পত্রিকাকে সমৃদ্ধ করেছেন। আর শিল্পী মুকুল রেজার করা ইনফো গ্রাফিক্স প্রতিটি লিড নিউজকে ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও আমার দেশ জনপ্রিয়

গত এক বছরে ছাপা পত্রিকার মতো আমার দেশ-এর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মও বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে অত্যন্ত শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। বিশেষ করে আমার দেশ-এর ইউটিউব চ্যানেল শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মাধ্যমে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়।

পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে সাংবাদিক তামান্না মিনহাজের নেতৃত্বে আমার দেশ মাল্টিমিডিয়ার কাজ চলছে একদল উদ্যমী তরুণ সাংবাদিকের মাধ্যমে। আন্তর্জাতিক বিভাগের জন্য এ পত্রিকায় যোগ দিয়েছিলেন তামান্না মিনহাজ। কিন্তু তাকে পরে মাল্টিমিডিয়া বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তামান্না মিনহাজের কণ্ঠ এখন দেশ-বিদেশে পরিচিত এবং তিনি আমার দেশ ইউটিউব চ্যানেলের একটি ব্র্যান্ড হিসেবে খ্যাতিলাভ করেছেন।

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আমার দেশ-এর ই-ভার্সন বা ই-পেপার, অনলাইন পোর্টাল, ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক রয়েছে। নিউজ পোর্টালটি মাত্র এক বছরে চার নম্বর অবস্থানে চলে এসেছে। আমার দেশ-এর ফেসবুক পেজের ভিউ প্রতি মাসে প্রায় ৪০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুকের ফলোয়ার এক বছরে এখন ১৪ লাখে পৌঁছেছে। ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ১৫ লাখ ছাড়িয়েছে কয়েক দিন আগেই। পত্রিকার উদ্বোধন দিনে আমার দেশ-এর লিড নিউজ ছিল ‘দিল্লিকে ঢাকা অ্যাটাক করতে বলেছিলেন হাসিনা’। ইউটিউব চ্যানেলে এই লিড নিউজটি তামান্না মিনহাজ পড়ে শোনালে এর ভিউ হয় প্রায় ৩৭ লাখ। এছাড়া সাড়া জাগানো অন্তত ৩২টি রিপোর্টের প্রতিটির ভিউ হয়েছে এক মিলিয়ন অর্থাৎ ১০ লাখের বেশি। গত মাসে ইউটিউবের ভিউ দাঁড়িয়েছে ৫ কোটির ওপরে। আর আমার দেশ-এর ওয়েবসাইটে মাসিক ভিউ প্রায় ১০ কোটি।

সাংবাদিকতায় পুরস্কার

আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সাহসী সাংবাদিকতা ও মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় একুশে পদকে ভূষিত হন। পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সম্মানজনক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কারে ভূষিত হন। বিশেষ প্রতিনিধি এমএ নোমান ডিআরইউর বর্ষসেরা রিপোর্টিং পুরস্কারে ভূষিত হন।

আমার দেশ পরিবার

আমার দেশ-এর রিপোর্টিং টিমের সঙ্গে পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধানও এক বা একাধিক রিপোর্ট করে পত্রিকাটিকে আলোচনায় নিয়ে এসেছেন। একটি তরতাজা পত্রিকা প্রতিদিন পাঠকের হাতে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক এম আবদুল্লাহ, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন ও চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন। পত্রিকার বার্তা সম্পাদক এক বছরে কোনো সাপ্তাহিক ছুটিও নেননি। নিউজ ডেস্ক, ফিচার বিভাগ, মফস্বল বিভাগ, স্পোর্টস, সম্পাদনা সহকারী বিভাগ, কম্পিউটার ও গ্রাফিকস বিভাগ, পত্রিকার পরিচালক শাকিল ওয়াহেদ সুমনের নেতৃত্বে বিজ্ঞাপন বিভাগের কার্যক্রমÑএক কথায় সবাই পত্রিকার জন্য নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, আমার দেশ

Abdal62@gmail.com

গণমাধ্যমের বয়ান নির্মাণ এবং কর্তৃত্ববাদের উত্থান

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের বৈশ্বিক বয়ান ও হাসিনার ‘ডার্ক ডকট্রিন’

গণমাধ্যম কমিশনের রিপোর্টে আমার দেশ

‘কাকুতি মিনতি’ যুগের অপসাংবাদিকতার ছাপ

জাতিসংঘ অধিবেশন : হাসিনার কাগুজে হুংকার

টেলিভিশনের টকশো : সাংবাদিকতার মৃত্যু-পর্ব

ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির শ্বাসরুদ্ধকর কাহিনি

গণমাধ্যম কর্মীদের যে পাঁচটি জিনিস জানা জরুরি

নতুন বিপ্লব, পুরোনো অভ্যাস : গণমাধ্যম কি বদলাতে পারবে?

শিরস্ত্রাণবিহীন, উন্নত শিরঃ বীরোচিত গণমাধ্যম