২০২৬ সাল : রাজনীতির নতুন বাঁকবদল
ইংরেজি ২০২৫ সাল বিদায় নিচ্ছে। নতুন বছর ২০২৬ সাল দরজায় কড়া নাড়ছে। বৃহস্পতিবার থেকে নতুন বছরের অভিযাত্রা শুরু হবে। বছরটি কেমন যাবে-এক কথায় বলা সম্ভব নয়। তবে এটা বলা যায়, ২০২৬ সাল বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের বছর হতে যাচ্ছে। এই বড় পরিবর্তন হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে, যা দেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণ করবে। সামগ্রিকভাবে ২০২৬ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য একটি গণতান্ত্রিক উত্তরণের বছর, যেখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার, নতুন নেতৃত্ব নির্ধারিত হওয়ার আশা করছেন মানুষ।
বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীলতা এবং চ্যালেঞ্জ-উভয় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাবে বছরটি। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং মাস্টারকার্ড ইকোনমিকস ইনস্টিটিউটের মতে, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হতে পারে। মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৮ শতাংশে নেমে আসতে পারে। ২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ‘স্বল্পোন্নত’ বা এলডিসি তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার কথা রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নতুন চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ তৈরি করবে।
বিশ্বের জন্য ২০২৬ সাল প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তনের এক সন্ধিক্ষণ হতে যাচ্ছে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। নতুন বছরকে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বাস্তবায়ন বছর’ এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য স্থিতিশীলতা অর্জনের বছর হিসেবে দেখা হচ্ছে। বছরটিতে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ঘটনা হতে যাচ্ছে ২০২৬ ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় যৌথভাবে আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলারের প্রভাব ফেলবে। এটি প্রযুক্তি এবং পর্যটন খাতের জন্য বড় সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হবে। সামগ্রিকভাবে বিশ্বের জন্য ২০২৬ সাল হবে প্রযুক্তির মাধ্যমে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির এবং পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার একটি বছর।
গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
নতুন বছরে (২০২৬) বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হতে যাচ্ছে ১২ ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি ‘জুলাই চার্টার’ বা জুলাই সনদের ওপর একটি গণভোটও হবে একই দিনে। এ জুলাই সনদটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। গণভোটে হ্যাঁ-ভোট হচ্ছে জুলাই সনদের পক্ষে এবং না-ভোট বিপক্ষে।
আসন্ন ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনটিতে ভোট দেওয়ার জন্য দেশের ১৩ কোটি মানুষ ভোটার হয়েছেন। প্রায় ৪৪ লাখ নতুন ভোটারকে যুক্ত এবং মৃত ভোটারদের বাদ দিয়ে তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। আসন্ন নির্বাচন কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। তবে সরকার এক লাখ সামরিক বাহিনীর সদস্যসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আট লাখ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়েছে।
ভোটাররা একটি ভয়ভীতিহীন পরিবেশে ভোট দেওয়ার এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার প্রত্যাশা করছে। ফ্যাসিবাদী শাসনের জন্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় দলটি ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। এই নির্বাচনে বড় দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট এবং একসময়ের বিএনপি জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোট পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। জুলাই আন্দোলনের নেতাদের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির বড় অংশ জামায়াতে ইসলামীর জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথমে জামায়াতে ইসলামীর ৮-দলীয় জোট ছিল। এখন সেটা ১০-দলীয় জোটে রূপলাভ করেছে। এনসিপির জন্য জামায়াত ৩০টি আসন ছেড়েছে। বড় চমক মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম জামায়াতে ইসলামীর জোটে যোগ দিয়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছেন। ডা. তাসনিম জারাসহ ৩০ জন এনসিপি নেতা এনসিপির জামায়াত জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হতে পারেননি। তাসনিম জারা দল থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে বিএনপি জোটও বেশ কিছু আসনে তাদের প্রার্থী পরিবর্তন করেছে। তারেক রহমান ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচন করবেন। এ জন্য শরিক আন্দালিব রহমান পার্থ ভোলার আসন থেকে নির্বাচন করবেন।
আসন্ন ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার দেড় দশকের স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসনের সূচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নির্বাচনে কারা জিতবে কিংবা সরকার গঠন করবে, তা ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনই নির্ধারণ করবে। তবে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন যে হবে, তা বোঝা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাসহ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এনসিপির মতো নতুন দলের যোগ দেওয়া রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। নতুন বছরের জন্য যাকে রাজনীতির বাঁকবদল বলা যায়। এই বাঁকবদলে অবশ্য বিএনপিকেই নির্বাচনের প্রধান ফেভারিট হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার জন্য টার্নিং পয়েন্ট
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে গত ২৫ ডিসেম্বর তার দেশে ফিরে আসা নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে অনেক বিশ্লেষকই মনে করেন। তাদের মতে, তারেক রহমানের উপস্থিতি রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কমিয়ে দেশে স্থিতিশীলতা আনতে সহায়তা করবে। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। তিনি নিজে এই নির্বাচনি প্রচারে নেতৃত্ব দেবেন, যা দলটির জয়লাভের সম্ভাবনাকে আরো উজ্জ্বল করবে। বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি যে নেতৃত্বের শূন্যতায় ভুগছিল, তারেক রহমানের সরাসরি উপস্থিতিতে তা দূর হবে। এটি দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং প্রার্থী বাছাইয়ের কোন্দল মেটাতে সহায়ক হবে। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বড় দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি। এ ক্ষেত্রে প্রধান দলের শীর্ষ নেতার উপস্থিতি নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও গণতান্ত্রিক বৈধতাকে বিশ্বদরবারে সুসংহত করবে। ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক তরুণ ভোটার প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন। তারেক রহমান তার ‘আই হ্যাভ আ প্ল্যান’ বক্তৃতায় ইতোমধ্যে তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করেছেন। নতুন প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ‘ডিজিটাল’ ও ‘সমৃদ্ধ’ বাংলাদেশের যে রূপরেখা তিনি দিয়েছেন, তা তরুণ ভোটারদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। তারেক রহমান উদার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির বার্তা দিয়েছেন, যেখানে তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের জন্য একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখানো হয়েছে। তার এই বক্তব্য দেশে একটি সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতিরই ইঙ্গিত দেয়। সর্বোপরি তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শুধু একটি দলের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার জন্য একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ঘটনাবহুল ২০২৫ সাল
আগেই বলেছি নতুন বছর ২০২৬ সাল একটি নতুন গণতান্ত্রিক ও স্থিতিশীল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়ে আসছে। বিদায়ি বছর ২০২৫ সালটি ছিল ঘটনাবহুল ও ক্রান্তিকালীন বছর। ৩৬ জুলাইয়ের ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। তার ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান
ঘটে। এরপর থেকে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। ড. ইউনূসের সরকার বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, প্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন, গণমাধ্যমের সংস্কারসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের লক্ষ্যে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। বছরটিতে ছাত্র আন্দোলন থেকে উদ্ভূত ‘জাতীয় নাগরিক
পার্টি’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক শক্তি আত্মপ্রকাশ করে।
বিদায়ি বছরটিতে অন্তত ১৬টি আলোচিত ঘটনা রয়েছে, যার কারণে একে ঘটনাবহুল হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। যেমন : আদালত থেকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়া, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, ১৭ বছর পর তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের জন্য কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ, উন্নত চিকিৎসার জন্য গঠিত তদন্ত খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা এবং আবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা, মাইলস্টোন স্কুলের উপর বিমান দুর্ঘটনায় ৩২ জন ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকের মর্মান্তিক মৃত্যু, ডাকসু-জাকসু-রাকসু-চাকসুসহ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের আধিপত্য, লন্ডনে ইউনূস-তারেক বৈঠকে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঘোষণা, গোপালগঞ্জে আওয়ামী তাণ্ডব, ঢাকা কাঁপানো ভূমিকম্প, সংস্কার প্রস্তাব ও জুলাই সনদ, এনসিপির জন্ম, গুলিতে ওসমান হাদির মৃত্যু, মার্চ ফর গাজা, ভারত-বাংলাদেশ বিরোধ, দাবির বহর ইত্যাদি।
২০২৫ সালের ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) জুলাই বিপ্লব চলাকালে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ ও গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে রায় দেয়। শেখ হাসিনা এখন ভারতে পালিয়ে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে হেলিকপ্টার থেকে স্নাইপার ব্যবহার, ড্রোন হামলা এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে নিরস্ত্র শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়। জাতিসংঘের তদন্ত রিপোর্টে ১৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। এই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আদেশ হয়। এছাড়া দুর্নীতির পৃথক তিনটি মামলায় শেখ হাসিনাকে আরো ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আবার জাতীয় তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে তদন্ত করা হয়। গত ৩০ নভেম্বর কমিশন তাদের রিপোর্ট প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়। কমিশন তাদের রিপোর্টে বিডিআর ম্যাসাকারকে একটি ‘সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’ হিসেবে অভিহিত করে, যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুর্বল করা। রিপোর্টে বলা হয়, তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই হত্যাকাণ্ডে সাংগঠনিকভাবে জড়িত ছিল এবং শেখ হাসিনা স্বয়ং এ ঘটনার ‘সবুজসংকেত’ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের তৎকালীন সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপসকে এই হত্যাকাণ্ডের মূল সমন্বয়কারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিদেশি শক্তি, তথা প্রতিবেশী ভারত সরাসরি সংশ্লিষ্ট থাকার জোরালো প্রমাণ রয়েছে। এই দুটি ঘটনাই ২০২৫ সালে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ এবং রাজনৈতিক ইতিহাসে অন্যতম মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, আমার দেশ
Abdal62@gmail.com