দায় চাপানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ
সম্প্রতি শহীদ শরীফ ওসমান হাদির শাহাদাতকে কেন্দ্র করে সংঘটিত জাতীয় দৈনিক ‘ডেইলি স্টার’ ও ‘প্রথম আলো’ কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় পরিকল্পিতভাবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ওপর দায় চাপানোর অপচেষ্টার অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির নেতারা। তারা এ অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, গণমাধ্যমে কিংবা কোনো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলার সঙ্গে ছাত্রশিবিরের দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই।
রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির সব সময় গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা মনে করি, গণমাধ্যমের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এ ধরনের কর্মকাণ্ড ছাত্রশিবির কখনোই সমর্থন করে না। অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় হলো—একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে দৈনিক ‘ডেইলি স্টার’ ও ‘প্রথম আলো’-এর কার্যালয়ে সংঘটিত ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের দায় ছাত্রশিবিরের ওপর চাপিয়ে দিয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র ও অপরাজনীতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
শিবির নেতারা আরো বলেন, সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি ও রাকসু ভিপি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারির ব্যক্তিগত বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবিরের ওপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা চালানো হয়। সংশ্লিষ্ট বক্তব্যগুলো ছিল সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা নিজ নিজ বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন এবং বক্তব্যের ক্ষেত্রে অনিচ্ছাকৃত ‘স্লিপ অব টাং’-এর বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এটা ছাত্রশিবিরের কোনো অফিসিয়াল বক্তব্য বা অবস্থান নয়। আমরা স্পষ্ট ঘোষণা করছি, গণমাধ্যমে কিংবা কোনো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলার সঙ্গে ছাত্রশিবির দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। পাশাপাশি এই ধরনের হামলার ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। আশা করি অপপ্রচারের কারণে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝি অবসান হবে।
তারা বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট ঘটনার নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত দাবি করছি। একই সঙ্গে গণমাধ্যম ও জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
তারা আরো বলেন, শহীদ ওসমান বিন হাদির শাহাদাতের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। সব অবস্থায় আমাদেরকে ধৈর্য, প্রজ্ঞা, দায়িত্বশীল আচরণ ও জাতীয় ঐক্যকে প্রাধান্য দেওয়া দরকার।