জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় তাদের খোঁজ-খবর নেন এবং সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে অবহিত হন।
জামায়াত আমিরের সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তর মেডিকেল থানা সভাপতি ও ঢাকা-১৭ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্যপ্রার্থী ডা. এস এম খালিদুজ্জামান, জামায়াত আমিরের পারসোনাল সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আজকের আগুনে মুহূর্তের মধ্যে অসংখ্য নিম্নআয়ের মানুষের বসতঘর, জীবিকা ও সামান্য সঞ্চয় সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে এখন কঠিন মানবিক সংকটের মুখোমুখি। প্রাণহানি না ঘটলেও এত বিপুলসংখ্যক মানুষের মাথা গোঁজার ঠাই হারানো একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কান্না, আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার এই দৃশ্য আমাদের গভীরভাবে মর্মাহত করেছে।
জামায়াত আমির ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে তাৎক্ষণিক সহায়তা হিসেবে প্রত্যেক পরিবারকে দুটি করে কম্বল ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে আমরা তাদের পাশে থাকব এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট হব।
তিনি আরো বলেন, মূলত সরকারেরই উচিত বিভিন্ন দুর্যোগ বা দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিক সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। জরুরি ভিত্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্য, পানি, চিকিৎসা, কাপড়, পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা এখন অত্যাবশ্যক।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সরকার, বিভিন্ন এনজিও, সাহায্যকারী সংস্থা ও সমাজের বিত্তবানরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে আসবে।
বস্তিবাসীরা সাধারণত নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ-এ কথা উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত, এ রকম জনবহুল এলাকায় কেন বারবার অগ্নিকাণ্ড ঘটছে এবং এর মধ্যে কোনো নাশকতা বা সাবোটাজের উপাদান রয়েছে কি না।
তিনি অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।