প্রবাসে বসবাসরত নেতাকর্মীদের দলের এক ভার্চুয়াল সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানের অংশ নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গত রোববার হওয়া ওই ভার্চুয়াল সভায় প্রথমবারের মতো অংশ নেন জাইমা রহমান। ইউরোপীয় দেশসমূহের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রবাসীদের ভোট কার্যক্রম নিয়ে এই সভায় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসাইন আলমগীর পাভেল যুক্ত ছিলেন।
৩৯ সেক্টেডের ওই ভিডিওতে জাইমা রহমান উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিজের কথা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘থ্যাংক ইউ সবাই। এত করে যে আপনারা সবাই এসেছেন, এত কাজ যে করেছেন, আপনারাদের চিন্তাভাবনায় কী অসুবিধা-সুবিধা এটাও বললেন। আমরা যেন ….কয়েকটি বিষয়ের ব্যাপারে আলাপ করা হয়েছে। রিজভী (রুহুল কবির রিজভী) আংকেলও নোট নিয়েছেন, পাভেল (মওদুদ হোসেন পাভেল) আংকেলও। আমরা হয়তোবা সেন্ট্রালি দেখি কতটুকু করতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘অবশ্যই কাজটা যেনো এগিয়ে যায়। সবার সঙ্গে সবার যোগাযোগ আছে, সেটা করা উচিত। উই শুড হেল্প ইচ আদার, হোয়াট পসিবল। খোকন (মাহবুব উদ্দিন খোকন) আংকেল সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, সময় অনুযায়ী কীভাবে কীভাবে কাজ করা উচিত। ওটা যেনো আমরা না দেরি করি। আর এখানে যে স্কেজুয়ালটা আছে, ওইভাবে ওই অনুযায়ী প্যারাটাইজ করে কাজ করা উচিত। থ্যাংক ইউ সো মাচ।’
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন বলেন, ‘ব্যারিস্টার জাইমা রহমান রোববার একটি ভার্চুয়াল সভায় যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বক্তব্যও রেখেছিলে। এটা অফিশিয়ালি প্রকাশ করা হয়নি। বিএনপির মিডিয়া সেল কিংবা জাইমা রহমানের নিজস্ব ফেসবুক পেজেও প্রকাশ হয়নি। তবে কোনো একজন গোপনে এর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়েছেন।’
রাজনীতিতে জাইমা রহমান সরাসরি যুক্ত না হলেও এই প্রথম তাকে প্রবাসীদের ভোটবিষয়ক একটি দলীয় ভার্চুয়াল সভায় দেখা গেল।
এর আগে তারেক রহমানের প্রতিনিধি হিসেবে ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিন সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও ছিলেন।
জাইমা রহমান বাবা-মায়ের সঙ্গে ২০০৮ সালে লন্ডন যান। সেখানে তিনি স্কুল, মাধ্যমিক ও উচ্চতর শিক্ষা নেন। লন্ডনের লিংকন্স ইন থেকে বার অ্যাট ল সম্পন্ন করেছেন। এর আগে কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে আইন বিষয়ে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করেন।