সাংবাদিকদের নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা হলেও জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির প্রার্থীরা শাপলা কলি প্রতীকেই নির্বাচনে অংশ নেবেন।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, এনসিপির কেউ ধানের শীষ বা অন্য প্রতীকে ইলেকশন করবে না। আমাদের যদি কারও সঙ্গে আসন সমঝোতা হয় বা আলোচনা যদি হয়, সেক্ষেত্রেও আমরা শাপলা কলি প্রতীকে ইলেকশন করব।
এদিকে, ভোটের তারিখ না পিছিয়ে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারিতেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় এনসিপি। তবে এই নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা ও উদ্বেগ জানিয়েছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
ভোট আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, সার্বিক বিবেচনায় শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিচার প্রক্রিয়া এখনো সম্পূর্ণ হয়নি বা খুনিদের বের করা যায়নি। দেশের যে অস্থিতিশীল অবস্থা, সেখান থেকে আমরা ইসিকে বলেছি ১২ ফেব্রুয়ারি যেন ইলেকশন করতে পারি। আমরা ইসিকে এনসিপির পক্ষ থেকে বলেছি, যেন ঘোষিত তারিখ যেন না পেছায়। আওয়ামী লীগ ও ভারত পরিবেশ অস্থিতিশীল করে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে, যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রার্থীদের বলেছি তারা যেন নির্বাচন কমিশনের বিধিমালাগুলো মেনে চলেন এবং ইসিকেও বলেছি যে, সব দলের প্রার্থীদের নিরাপত্তা যেন নিশ্চিত করা হয়।
ইসিকে আরও সক্ষমতা বাড়াতে হবে উল্লেখ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। নিরাপত্তার জায়গা থেকে তিন বাহিনী ইসির সঙ্গে কথা বলেছে। আমরা বাহিনীগুলোর ওপর আস্থা রাখতে চাচ্ছি। সিকিউরিটি নিয়ে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছি। কিন্তু সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীরা মনোনয়ন ফর্ম তুলতে গেলে বিশৃঙ্খলা দেখতে পাচ্ছি, সেগুলো রিপোর্ট করেছি।
পাটওয়ারী বলেন, নির্বাচন কমিশনের চারদিকে নিরাপত্তা আছে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে রাজনৈতিক অফিসগুলো রয়েছে, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই। সেক্ষেত্রে তারা (ইসি) আমাদের আশ্বস্ত করেছেন তারা নিরাপত্তার চাদর আরও বাড়াবেন।