বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া (৮০) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনে একটি অনন্য রেকর্ড রয়েছে খালেদা জিয়ার। তিনি যে আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, সেখানেই জিতেছেন।
১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি পাঁচটি করে আসনে প্রার্থী হয়ে জয়ী হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সবগুলোতেই জয় পান।
খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বগুড়া-৭, ঢাকা-৫, ঢাকা-৯, ফেনী-১ ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পাঁচটিতেই জয় পান তিনি। অবশ্য ফেনী-১ আসনটি রেখে বাকি চারটি আসন ছাড়েন তিনি।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বগুড়া-৬, বগুড়া-৭, ফেনী-১, লক্ষ্মীপুর-২ এবং চট্টগ্রাম-১ আসনে লড়েন। সব আসনে বিজয়ের পর তিনি ফেনী-১ আসন নিজের জন্য রাখেন।
তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে বগুড়া-৬, বগুড়া-৭, ফেনী-১, লক্ষ্মীপুর-২ এবং চট্টগ্রাম-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সবগুলো আসনে বিজয়ী হয়ে বগুড়া-৬ আসনটি নিজের কাছে রাখেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি বগুড়া-৬, বগুড়া-৭ এবং ফেনী-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনটিতেই জয় পেয়ে তিনি ফেনী-১ আসনটি রাখেন।
বগুড়া, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও চট্টগ্রামের আসনগুলোতেই তিনি সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ১৯৯১ সালে তিনি ঢাকার একটি আসন থেকে এবং ২০০১ সালে খুলনার একটি আসন থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি। দুর্নীতির মামলায় দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আদেশের কারণে ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি খালেদা। সবশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনও বয়কট করে বিএনপি। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচনে তার তিনটি আসন থেকে অংশ নেওয়ার কথা ছিল।