বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে তাকে সংবর্ধনা দিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
এরই অংশ হিসেবে বুধবার দিবাগত রাতে শীত উপেক্ষা করেই সংবর্ধনাস্থলে অবস্থান করেছেন তাদের অনেকে। বিশেষ করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা নেতাকর্মীরা রাতভর সংবর্ধনাস্থলে কাটিয়েছেন। রাজধানীর পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই (৩০০ ফিট) সড়কে এই দৃশ্য দেখা গেছে।
নেতাকর্মীদের দাবি, দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে মা-মাটি ও মানুষের টানে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। তাকে নজিরবিহীন সংবর্ধনা দিতে উদ্যোগ নিয়েছে দল।
এই উপলক্ষে লাখো কর্মী-সমর্থকের পদচারণায় মুখরিত হবে সংবর্ধনাস্থল। যে কারণে ‘প্রিয় নেতাকে’ কাছ থেকে দেখতে শীত উপেক্ষা করেই সংবর্ধনাস্থলে অবস্থান করছেন তারা।
এ সময় বিএনপির কর্মী ও সমর্থকদের চাটাই, বিছানা ইত্যাদিতে শুয়ে কম্বল মুড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। শীতে কাতর হলেও প্রিয় মুহূর্তের সাক্ষী হওয়ার আনন্দে উচ্ছ্বসিত ছিলেন তারা।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে সপরিবারে রওনা দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান, মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানসহ কয়েকজন তার সঙ্গে রয়েছেন। তারেক রহমান বিমানের বিজি-২০২ ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন।
এর আগে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার দিকে হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে লন্ডনের বাসা ছাড়েন তারা।
ওয়ান-ইলেভেন সরকার ২০০৭ সালে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে। ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তিনি। এরপর থেকে সেখানেই আছেন। লন্ডন থেকেই দল পরিচালনা করে আসছেন তিনি। দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি সময় পর তিনি দেশে ফিরছেন।
দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে বৃহস্পতিবার দেশের মাটিতে পা রাখছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার এই প্রত্যাবর্তন শুধু একজন রাজনৈতিক নেতার দেশে ফেরা নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনীতির নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে দেখছে বিএনপি।