হোম > রাজনীতি

এনসিপির স্বাস্থ্য পেশাজীবী সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্স’ (এনএইচএ) আত্মপ্রকাশ করেছে। জুলাইয়ের চেতনায় উদ্বুদ্ধ এই নতুন সংগঠনে চিকিৎসকদের পাশাপাশি নার্স, টেকনোলজিস্ট, জনস্বাস্থ্যবিদ ও ফিজিওথেরাপিস্টরাও রয়েছেন।

আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবীর অডিটোরিয়ামে এনএইচএ’র আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণা করেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা এবং মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সংগঠনটির কাঠামো আহ্বায়ক, সদস্যসচিব ও সদস্যসহ ২৬টি পদে সাজানো হয়েছে। কমিটিতে শিশু সার্জারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শাদরুল আলমকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। সদস্য সচিব করা হয়েছে ডা. আব্দুল আহাদকে। আর মুখ্য সংগঠক হিসেবে ডা. ইউসুফ জামিল তিহান এবং মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডা. হুমায়ুন কবির হিমুকে।

এ সময় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা বলেন, স্বৈরাচারের সময়ে জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসা দিতে বারণ করা হয়েছিল। অথচ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজই ছিল মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া। সেখানে রাজনৈতিক পরিচয় কোনো নির্ভরতার বিষয় হতে পারে না। স্বাস্থ্য খাতে রাজনৈতিক ছায়া আমরা কখনোই চাই না। স্বাস্থ্যখাতে আমূল পরিবর্তন দরকার। এই সময়ে এসেও আমাদের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের মেঝেতে থাকতে হয়। দেশে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া এখনো শুধু ক্ষমতাধরদের জন্য সহজ—এটি তো হওয়ার কথা ছিল না। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও এমন চিত্র দুঃখজনক। এই ভঙ্গুর অবস্থা থেকে আমাদের পুরো চিত্র বদলে ফেলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, “স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবনা দিয়েছে, তার কোনোটি আমরা বাস্তবায়িত হতে দেখিনি। আমাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। রোগী ধনী হোক বা গরিব—সেবা পাওয়াটাই মূখ্য হতে হবে।”

প্রধান অতিথি এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কতটা উন্নত, তা ঢাকা মেডিকেলে গেলেই স্পষ্ট বোঝা যায়। চিকিৎসকদের বেতন কাঠামো, নিরাপত্তা ও ভালো আবাসন সুবিধা নেই। নার্সদের পদোন্নতির কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেই। বিভিন্ন দেশে আমাদের নার্সরা উন্নত সেবা দিতে যাচ্ছে, অথচ বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। আমরা যদি একটি কার্যকর স্বাস্থ্য কাঠামো তৈরি করতে না পারি, আর যদি দলীয় পদ-পদবি বণ্টনের রাজনীতি চলতেই থাকে, তাহলে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সরকার সব কিছু এককভাবে করতে চায়। শিক্ষকরা আন্দোলন করলে তাদের বেধড়ক পেটানো হয়। এরপর নার্স, চিকিৎসকসহ সবাই একই পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন। এখন মানুষ ভাবছে—সংস্কারের প্রয়োজন আছে কি নেই। বিগত ১৫ বছরে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের সব যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এখনও তাদের অনেক নেতাকর্মী নিখোঁজ। তাই রাষ্ট্রের মূল জায়গায় সংস্কার দরকার, যাতে আর কাউকে গুমের শিকার হতে না হয়।

পাটোয়ারী আরও বলেন এখন যখন সংস্কারের প্রয়োজন, তখন একটি বড় দল সেই সংস্কার প্রক্রিয়া থেকে সরে গেছে। যে রাজনৈতিক দল সংস্কারের বাইরে চলে গেছে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের সংস্কারের পক্ষে থাকতে হবে। জনগণ গণভোটের কথা বললেও যদি আপনি গণতন্ত্রের কথা বলে তা এড়িয়ে যান, তাহলে তো গণতন্ত্রের কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।

জিয়াউর রহমান গণমানুষের কথা ভেবেছিলেন বলেই ‘হ্যাঁ’ ভোটের মাধ্যমে নিজের বৈধতা নিয়েছিলেন। গত এক বছরে শিক্ষার্থীরা যে দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছে, তার কোনোটি বাস্তবায়িত হয়নি। বিভিন্ন শ্রেণির আন্দোলনরত মানুষকে সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ করতে পারেনি, ফলে তাদের আবারও রাস্তায় নামতে হচ্ছে। এখন কথা বললেই অনেক উপদেষ্টা নাখোশ হন, কিন্তু ওই চেয়ারে বসে সেটি সহ্য করতেও পারেন না।

এসআর

স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন চান ডা. তাসনিম জারা

যে কোন নৈরাজ্যের উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত ছাত্রশিবির

রাজধানীতে কাল ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি

৮ দলের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ নাসীরুদ্দীনের

আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে হাসনাত আবদুল্লাহই যথেষ্ট

গণভোটের আড়ালে পরাজিত স্বৈরাচারকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে

জাতীয় যুবশক্তির ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৯ জনের পদত্যাগ

দেশের চলমান সংকট উদ্দেশ্যমূলক: মির্জা ফখরুল

সরকারকে হুমকি না দিতে তারেক রহমানের আহ্বান

অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলার আহ্বান চরমোনাই পীরের