খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সভায় নেতারা উদ্বেগের সঙ্গে বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের অধীনে দুটি কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব দিতে বিদেশী দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গত সোমবার চুক্তি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দ্রুততার সঙ্গে এসব চুক্তি সম্পাদন এবং চুক্তির বিষয়গুলো প্রকাশ না করা দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
তারা বলেন, এরমধ্যে সরকার বন্দর ব্যবহারকারীদের মাশুল ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। এটি চট্টগ্রাম বন্দরকে বিশ্বের ব্যয়বহুল বন্দরে পরিণত করবে এবং পণ্য আমদানিতে খরচ বাড়াবে, যার বোঝা ভোক্তাদের বহন করতে হবে। ফলে মূল্যস্ফীতির হার বাড়বে। খেলাফত মজলিস অবিলম্বে চুক্তির বিষয়গুলো প্রকাশের দাবি জানাচ্ছে। এতে দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো ধারা থাকলে জনগণ তা মানবে না।
বৈঠকে নেতারা আরও উল্লেখ করেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও নাজুক। প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ খুন এবং চাঁদাবাজি হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার আগে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করা অত্যাবশ্যক। পেশীশক্তি ও কালো টাকার আধিপত্য নির্মূল না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সংবিধান সংস্কারে গণভোট জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে অনুষ্ঠিত না হলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ভূলুণ্ঠিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জনগণ জনআকাঙ্ক্ষার নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নেবে, তাদের বিরুদ্ধে গণভোটে জনগণ প্রতিক্রিয়া দেখাবে।
নির্বাহী বৈঠক বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় নির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসআর