দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রিয় নেতাকে একনজর দেখার অপেক্ষায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় জড়ো হয়েছেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে তাঁরা গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের স্থান রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় যাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৬টা থেকেই নেতাকর্মীরা শান্তিনগর এলাকায় জমায়েত হতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এ সময় অনেককে কাঁচা ধানের তোড়া বানাতে দেখা যায়। আবার শান্তিনগর মেইন রোড দিয়ে মোটরসাইকেল, বাস ও কাভার্ড ভ্যানযোগে ব্যানার হাতে নেতা-কর্মীদের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যেতে দেখা যায়।
নেতা-কর্মীরা জানান, প্রিয় নেতা দেশে ফিরছেন—এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। তাঁরা বলেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিবর্তন আসবে।
রমনা থানার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি হুমায়ুন কবির বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় টানা নয় মাস তারেক রহমানের সঙ্গে একই কক্ষে কারাবন্দি ছিলাম। দীর্ঘ ১৭ বছর পর আবার তাঁর সঙ্গে দেখা হওয়ার মুহূর্তটি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এটি আমার জীবনের অন্যতম সেরা অনুভূতি। তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের ফলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন ধারা ও গতি আসবে বলে তিনি আশা করেন।
উল্লেখ্য, প্রায় দেড় যুগ পর দেশে রাজসিক প্রত্যাবর্তন ঘটছে তারেক রহমানের। তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে তাঁর ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে (ঢাকা সময় রাত ১২টা ৩৬ মিনিটে বৃহস্পতিবার) লন্ডন হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে তাঁর ফ্লাইটটি।
তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০২ নম্বর ফ্লাইটে বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯০০ উড়োজাহাজে যাত্রা করছেন। ফ্লাইটটির রুট লন্ডন হিথ্রো–সিলেট–ঢাকা। উচ্চপদস্থ যাত্রী থাকায় বিশেষ সমন্বয় ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ফ্লাইটে তারেক রহমানের জন্য বিশেষভাবে A1 সিট বরাদ্দ করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিজ বাসা থেকে হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন তারেক রহমান।