হোম > জাতীয়

দুদকের মামলায় আসামি হচ্ছেন হাসিনাসহ ১২ জন

বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাৎ

আল-আমিন

অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই মধ্যে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শেষ হয়েছে। চলতি মাসেই মামলা দায়ের হতে পারে।

দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ব্যবহার করে শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ

পুতুল এবং শেখ রেহানা তাদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করেছেন। শুধু তাই নয়, ট্রাস্টের নামে বিদেশের অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়ে গেছেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যরা। তবে ট্রাস্টের ফ্যান্ডের টাকার উৎস জানতে পারেননি তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

দুদক মনে করছে, সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ট্রাস্টটির অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে টাকা এনে সদস্যরা ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। এ অভিযোগে শিগগির মামলা দায়ের করবে দুদক।

এই মামলায় ১২ জনকে আসামি করা হবে বলে জানা গেছে। তারা হলেনÑবোর্ড অব ট্রাস্টির ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ট্রাস্টের সদস্য সাবেক হুইফ নূর-ই-আলম চৌধুরী, শেখ হেলাল উদ্দিন, ফরিদা শেখ, রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ মল্লিক, রবিউল হাসান অভি, শেখ কবীর, শেখ সেলিম, আনিসুল ইসলাম ও সাবেক হুইপ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।

দুদক জানিয়েছে, অনুসন্ধান কার্যক্রম শেষ হয়ে এসেছে। অনুসন্ধান শেষ হলে মামলার আসামি হিসেবে আরো কয়েকজন সংযুক্ত হতে পারেন।

দুদক জানিয়েছে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরো সাতটি অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম চলমান । শিগগির ওই অনুসন্ধান শেষ হবে।

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক পরিচালক বলেন, ‘প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস ধরে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে। আমরা সব বিষয় গুছিয়ে এনেছি। ইতোমধ্যে আদালতের আদেশে প্রতিষ্ঠানটির অর্থও জব্দ করা হয়েছে। শিগগির মামলা করা হবে।’

দুদক জানিয়েছে, গত ৯ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্টের ১৬ কোটি সাড়ে ১২ লাখ টাকা জব্দের আদেশ দেয় আদালত। আদালতে ওই টাকা জব্দের আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম। আবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানা ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টের অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে উক্ত অ্যাকাউন্টটি অবিলম্বে জব্দ করা আবশ্যক। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ দেয়।

১৯৯৪ সালের ১১ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট বাংলাদেশ নামে একটি ট্রাস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। তার মেয়ে শেখ হাসিনা এই ট্রাস্টের চেয়ারপারসন। ২০১৭ সালের ১৭ মে ট্রাস্ট থেকে শিক্ষা সহায়তা ও শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানের কার্যসূচি বাস্তয়ানসহ আরো কয়েকটি অনুষ্ঠানের জন্য টাকা দেওয়া হয়। ওই টাকা ট্রাস্ট থেকে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে গেছে বলে দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পদত্যাগের গুঞ্জন, যা বলল এনসিপি

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে: জামায়াত আমির

বদলে গেল নাম, বাগছাস এখন ‘জাতীয় ছাত্রশক্তি’

ভারতবিরোধিতার কারণে গোলাম আযম শহীদ হয়েছেন: ব্রিগেডিয়ার আযমী

ইমামকে অপহরণে ইসকনের ভূমিকা উদ্বেগজনক: জমিয়তে উলামা

দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্ব দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়: ড. হেলাল উদ্দিন

আ.লীগ ও জাপাকে বাইরে রেখে নির্বাচন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র

ইবতেদায়ী শিক্ষকদের দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য জোটের সমর্থন

বিএনপি-জামায়াতের চোখে বিতর্কিত উপদেষ্টা কারা

দায়িত্ব শেষ করে যত তাড়াতাড়ি যেতে পারি বাঁচব: আসিফ নজরুল