মতবিনিময় সভায় তারেক রহমান
দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ব্যাহত করতে বহু ষড়যন্ত্র চলেছে, এখনো চলছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে ' বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা ' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কী কী করবে তা সহজ ভাষায় সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে তিনি বলেন, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছিলাম। কারণ সেখানে কোনো জবাবদিহিতা ছিল না। একমাত্র গণতন্ত্রই সমাজে-দেশে এবং রাষ্ট্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারে। সাধারণ মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকে।
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, ৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে দেশের মানুষ। মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে এই দেশের গৃহবধূ, ক্ষুদ্র মুদি দোকানদার, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, সিএনজি চালক, বাসের হেল্পার, ছাত্র, জনতা, মাদ্রাসার ছাত্র, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্কুল-কলেজের ছাত্ররা। এমনকি ছোট ছোট শিশুরা। ৬৩ জন শিশু মারা গেছে সেই আন্দোলনে।
সরকারের জবাবদিহিতার গুরুত্ব তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জবাবদিহিতা থাকলেই ধীরে ধীরে পরিবর্তন ঘটতে শুরু হবে।
তিনি বলেন, "গত ১৬ বছর ধরে একপক্ষ বলেছে— 'আমি ভালো আর সব খারাপ, একজন ভালো আর বাকি সবাই খারাপ।'
দুঃখজনক হলো গণ-অভ্যুত্থানের পরেও সেটার পরিবর্তন হয়নি। এটির পরিবর্তন হওয়া বাঞ্ছনীয়। এটির পরিবর্তন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। বহুদলীয় গণতন্ত্রে মানুষ বিভিন্ন মতামত দেবে। মতামত দেওয়ার অধিকার তার আছে। বক্তব্য রাখার অধিকার তার আছে। কিন্তু অবশ্যই ‘একজন ভালো আর বাকি সবাই খারাপ’— এটি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। এই ধারণার পরিবর্তন হতে হবে। এটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।"
তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা যদি সামনে এগিয়ে আসতে পারো তাহলে এদেশ টিকে যাবে। আর যদি তা না হয় তাহলে ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।
স্বৈরাচার বিতাড়াতে এদেশের ছাত্ররা, ছাত্রদলের নেতাকর্মী জীবনের সোনালি সময় বিসর্জন দিয়েছে জানিয়ে তাদের অভিনন্দন জানান তিনি।