বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে দলটির পক্ষ থেকে বাসভবন, অফিস ও নিরাপত্তাসহ সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর টানা ১৮ বছর লন্ডনে নির্বাসিত থাকার পর ঢাকায় ফিরছেন তিনি।
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, গুলশান এভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসায় উঠবেন তারেক রহমান। এই বাসার পাশেই ভাড়া করা বাসা ‘ফিরোজা’য় থাকেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। একইসঙ্গে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য আলাদা চেম্বার প্রস্তুত করা হয়েছে। নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও তার জন্য পৃথক চেম্বার তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনার জন্য গুলশানে আরেকটি বাসা ভাড়া নেওয়া হয়েছে, যেখান থেকে নির্বাচনী কার্যক্রম সমন্বয় করা হবে।
এদিকে তারেক রহমানের গুলশান এভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসায় সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেখানে দেখা গেছে, বাসার সামনে নিরাপত্তা ছাউনি স্থাপন এবং সড়কে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মীরা জানান, তারেক রহমান সেখানে অবস্থান করবেন বলেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে এই বাড়িটি বেগম খালেদা জিয়াকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। কয়েক মাস আগে গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও রাজউকের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রিজু বাড়িটির দলিলপত্র বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে হস্তান্তর করেন।
এই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের নেতার অপেক্ষায় দেশবাসী। সেদিন দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে সড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে প্রিয় নেতাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। আমরা সেই প্রস্তুতির কাজ করছি। এ উপলক্ষে সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।