লালদিয়া ও পানগাঁও বন্দরের পরিচালনা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর–সংক্রান্ত অস্বচ্ছ আলোচনা ও গোপন সমঝোতার যেকোনো প্রচেষ্টাকে জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক অশনিসংকেত হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে তিনি বলেন—লালদিয়া, পানগাঁও কিংবা দেশের যেকোনো বন্দর— এগুলো কেবল অর্থনৈতিক স্থাপনা নয়; এগুলো কৌশলগত নিরাপত্তার স্তম্ভ। দরপত্রবিহীন, তড়িঘড়ি বা গোপন প্রক্রিয়ায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি রাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থকে ঘোর বিপদের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
তিনি আরো বলেন— প্রথমত বন্দর পরিচালনা ও উন্নয়ন দেশীয় সক্ষমতা দিয়েই করা উচিত । বিশেষ প্রয়োজন হলে বিদেশি বিশেষজ্ঞ নেওয়া যেতে পারে, তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ও সামগ্রিক নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে দেওয়া যাবে না।
মহাসচিব সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেন— জাতির কৌশলগত সম্পদ নিয়ে গোপন সমঝোতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। লালদিয়া ও পানগাঁও বন্দর দেশের সম্পদ—দেশেরই অধীনেই থাকতে হবে।