আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখে তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ী নেজাম)-এর ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ী নেজাম)-এর মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এ জোড়ে অংশগ্রহণ করবেন কেবলমাত্র তারা, যারা আল্লাহর রাস্তায় চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যারা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এ কাজে উদ্বুদ্ধ করে নিয়ে আসবেন।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ী নেজাম) গত ৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করে।
হাবিবুল্লাহ রায়হান অভিযোগ করে বলেন, ‘সাদপন্থী’ নামে পরিচিত একটি কুচক্রী মহল এই খুরুজের জোড়কে ইজতেমা আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি তারা একই স্থানে ইজতেমা আয়োজনের দাবিও জানাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি আরও বলেন, অতীতে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অমান্য করে তারা একাধিকবার সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর ইজতেমা মাঠ প্রস্তুতির কাজে নিয়োজিত তাবলীগের সাথিদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রায় পাঁচ হাজার সাথি আহত হন।
পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে পুনরায় হামলায় চারজন সাথি শহীদ হন এবং শতাধিক সাথি আহত হন।
তিনি দাবি করেন, এসব জঘন্য ও ন্যাক্কারজনক ঘটনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পক্ষ নৈতিক ও নীতিগতভাবে ইজতেমা মাঠে কোনো ধরনের জোড় বা ইজতেমা আয়োজনের অধিকার হারিয়েছে। ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, সাদপন্থীরা ১৪–১৬ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা করতে পারবে, তবে পরবর্তী বছরগুলোতে তারা টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে কোনো ধরনের ইজতেমা বা তাবলীগী কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। ৎ
নির্ধারিত শর্ত পূরণের সাপেক্ষেই তারা ওই সময়ের ইজতেমা সম্পন্ন করে, যা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে।
পরবর্তীতে তারা সেই শর্ত অনুযায়ী চলতি বছরে বিভাগীয় পর্যায়ে তাদের কার্যক্রম সম্পন্ন করলেও, সম্প্রতি আবার ইজতেমা মাঠকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেএফএফ। এ ধরনের কর্মকাণ্ড শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় পরিবেশ ও জাতীয় স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেন তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ী নেজাম)-এর মিডিয়া সমন্বয়ক।