হোম > রাজনীতি

ফাঁকা আসনে ক্ষোভ বাড়ছে বিএনপি নেতাদের

আমার দেশ অনলাইন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি যে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। আর তা ঘিরে তৃণমূলে চলছে তীব্র ক্ষোভ ও বিভক্তি। অনেক জায়গায় মনোনয়নবঞ্চিতদের বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। তালিকা ঘোষণার পর দলের ভেতর অসন্তোষ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

তৃণমূল নেতাদের মতে, খুব দ্রুত এসব কোন্দল নিরসন না হলে নির্বাচনের ফলাফলেও প্রভাব পড়তে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও বলছেন, বিএনপিকে এককভাবে সরকার গঠন করতে হলে এখনই শক্তিশালী দলীয় ঐক্য ও মাঠের বিরোধ নিষ্পত্তি জরুরি।

তবে নেতাকর্মীদের মধ্যে মনোনয়ন নিয়ে এ মতানৈক্য আগামী নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন। তার দাবি, একাধিক যোগ্যপ্রার্থী থাকলে একজনকে বেছে নিতে হয়। বাকিদের ক্ষোভ থাকবে স্বাভাবিক। আর এটা প্রতি নির্বাচনেই হয়ে থাকে। আর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থী ঘোষণার দিন স্পষ্ট করেছেন, ঘোষিত তালিকা কেবল সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা। স্থায়ী কমিটি যেকোনো সময় এতে পরিবর্তন আনতে পারে।

টাঙ্গাইল-৫, ঝিনাইদাহ-৪, লক্ষ্মীপুর-১, লক্ষ্মীপুর-৪ ও ঢাকা-১০সহ ৬৩ আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মনে করছেন, এসব আসনে এখন পর্যন্ত মনোনয়ন ঘোষণা না করায় প্রচারের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছেন তারা। ঢাকা-১০ আসনে বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, টাঙ্গাইল-৫ আসনে বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সহসম্পাদক এবং এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন প্রতিদিনই প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

টাঙ্গাইল সদর থানা বিএনপি নেতা আশরাফুল ইসলাম জানান, তাদের প্রতিপক্ষ জামায়াত যেখানে এক বছর আগে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করে নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছে, সেখানে টাঙ্গাইল সদরের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসনটি ফাঁকা রেখেছে বিএনপি। এতে নির্বাচনের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন তারা।

ঢাকা-১০ আসনে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম প্রতিদিনই ধানের শীষের ভোট চেয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এখানকার নেতাকর্মীদের দাবি, ধানের শীষের বিজয়ে জন্য এ আসনে ব্যারিস্টার অসীমের বিকল্প নেই।

আশরাফ উদ্দিন বলেন, লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে দীর্ঘদিন ধানের শীষের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। ফলে নির্বাচনি মাঠে আছি ও থাকব।

স্থানীয় বিএনপির নেতারা জানান, এ আসনে সমমনা দলের (জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বা তার স্ত্রী তানিয়া রব) বা অন্য কাউকে প্রার্থী দিলে আসনটি হারাতে পারে বিএনপি। এক্ষেত্রে দলের মনোনয়ন না পেলে এ আসনে আশরাফ উদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে। একই অবস্থা লক্ষ্মীপুর-১ আসনেরও। সমমনা দল থেকে মনোনয়ন দিলে বিএনপির কোনো নেতা এ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা দলের বাইরের কাউকে মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য সভা-সমাবেশ করেছেন। একইভাবে ঝিনাইদহ-৪ আসন নিয়েও এই এলাকার বিএনপির নেতারা হতাশায় রয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, দলের কাউকে এ আসনে চান। এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ। তিনি এ আসন থেকে ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছিলেন।

ইসলামের পক্ষে নীরব ভোট বিপ্লব হবে: নূরুল ইসলাম বুলবুল

যেভাবে দেশের রাজনীতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার শুরু

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে

জন্মদিনে স্ত্রী-কন্যার ছবি শেয়ার করে ৫ প্রতিশ্রুতি দিলেন তারেক রহমান

বিএনপির তৃণমূলে ক্ষোভ-সংঘাত, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি

শেখ পরিবার বিদেশে আয়েশে বিপর্যস্ত আ.লীগের তৃণমূল

বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলে দ্বন্দ্ব, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চান অনেকেই

তারেক রহমানের ৬০তম জন্মদিন আজ

পল্লবীর যুবদল নেতাকে হত্যায় বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন

মৌলভীবাজার-২ আসনের বিএনপির মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে মানববন্ধন