সাংবাদিকদের সালাউদ্দিন আহমদ
নির্বাচন পেছানো এবং দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে অরাজকতা সৃষ্টির একটি অপকৌশল থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায় বিএনপি।
শুক্রবার গুলশানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারকে আমরা অনুরোধ করব, যেন তারা সব ধরনের কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারের কিছু বিষয় নিয়ে সমালোচনারও জায়গা আছে। তার ভাষায়, এ ধরনের পরিস্থিতি আন্দাজ করা উচিত ছিল। ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট থাকা দরকার ছিল এবং প্রিকশনমূলক ব্যবস্থা আগে থেকেই নেওয়া উচিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, কিছু নির্দিষ্ট টার্গেট প্লেস আগে থেকেই নির্ধারণ করা হয়েছিল বলে আমরা দেখেছি। এর মাধ্যমে সারাদেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার কোনো অপপরিকল্পনা বা অপকৌশল আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, তবে এ ধরনের কোনো কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। গণতান্ত্রিক উত্তরণকে কোনোভাবেই রুদ্ধ করা যাবে না আমরা তা মনে করি।
তিনি বলেন, এ ধরনের নৃশংস ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলেও বিএনপি আশঙ্কা করছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তাজনিত সব বিষয় নিয়ে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে এবং সরকার এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে বলেও জানান তিনি।
তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি কোনো জনসভা নয়। এটি ৩০০ ফুটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হবে। আজই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। তিনি জনগণের সামনে উপস্থিত হবেন, জনগণকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাবেন। এটি সদস্যপত্র বিতরণ বা জনসভা নয়।
তিনি জানান, আগামী ২৫ তারিখে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।