হোম > ধর্ম ও ইসলাম

জ্বরে যে আমল শিখিয়েছেন নবীজি (সা.)

শরিফ আহমাদ

চারদিকে জ্বরের প্রকোপ। ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ায় অনেকেই হারিয়েছেন প্রিয়জনকে। কদিন আগে বাংলাদেশে বিশ্বজয়ী হাফেজ ত্বকীও মারা গেলেন এই জ্বরে। তাই এ রোগ থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে আমাদের দোয়া করা উচিত।

বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির মাধ্যমে মুমিনদের পাপ মোচন হয়। তাই জ্বর বা অন্য কোনো রোগ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ না করে ধৈর্য ধারণ করতে বলা হয়েছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) একদিন উম্মে সায়িব কিংবা উম্মুল মুসায়্যিব (রা.)-এর কাছে গিয়ে বলেন, ‘তোমার কী হয়েছে হে উম্মে সায়িব অথবা উম্মুল মুসায়্যিব! কাঁপছ কেন?’ তিনি বলেন, ‘ভীষণ জ্বর, এতে আল্লাহ বরকত না দিন।’ তখন তিনি বলেন, ‘তুমি জ্বরকে গালি দিয়ো না। জ্বর আদমসন্তানের গুনাহগুলো বিদূরিত করে দেয়, যেভাবে (কামারের) হাপর লোহার মরিচা দূর করে দেয়।’ (মুসলিম : ৬৩৩৬)

জ্বরের সময় শরীর অতিরিক্ত তাপমাত্রা সৃষ্টি করে, যা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। পানি দিয়ে শরীর ঠান্ডা করলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে। আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতেও জ্বর নিয়ন্ত্রণে পানি ব্যবহারের বিকল্প নেই। ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জ্বরের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের তাপ থেকে। তাই পানি দিয়ে তোমরা তাকে ঠাণ্ডা করবে।’ (মুসলিম : ৫৫৬৪)

ওষুধ গ্রহণের পাশাপাশি জ্বর কমানোর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) জ্বর ও সব ধরনের বেদনার ক্ষেত্রে এই বলতে শিখেয়েছেন—‘বিসমিল্লাহিল কাবির, আউজু বিল্লাহিল আজিম, মিন শররি কুল্লি ইরকিন না’আরিন, ওয়া মিন শররি হাররিন নার।’

অর্থ: মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি। আমি মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই প্রত্যেক উত্তপ্ত শিরার অনিষ্ট থেকে এবং আগুনের উত্তাপের অনিষ্ট থেকে। (তিরমিজি : ২০৭৫)

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছাতা মসজিদ আল হারামে

ইসলামে দায়িত্ববোধের দর্শন

শতবর্ষী পিয়ার আলী জামে মসজিদ

প্রযুক্তির যুগে সন্তান প্রতিপালন

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া

যে মসজিদে একসঙ্গে নামাজ পড়েন ৬৩ হাজার মুসল্লি

সরকারের অনুরোধ রেখে ২০২৬ এর মার্চ -এ বিশ্ব ইজতেমা

পাগড়িতে নবীজির (সা.) চুল সংরক্ষণ করেছিলেন যে সাহাবি

সিডনিতে এক উচ্চাভিলাষী মসজিদের স্বপ্ন এখন বাস্তবতার কাছাকাছি

মসজিদে নববির ছাতাগুলো যেন প্রযুক্তির চমক