হোম > ধর্ম ও ইসলাম

ইজতেমা নিয়ে তাবলিগের নতুন সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টার

টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান। ছবি : আমার দেশ

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে কোনো ধরনের জমায়েত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাবলিগ জামাত। খুরুজের জোড়ে অংশগ্রহণকারীদের নিজ নিজ জেলা ও এলাকা থেকে বের হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

বুধবার এ বিষয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ী নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে খুরুজের জোড়সহ কোনো ধরনের সমাবেশ বা অনুষ্ঠান আয়োজন না করার অনুরোধ জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-৬ শাখা থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তিনি বলেন, আমাদের মুরুব্বিরা সব সময় প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য খুরুজের জোড়ে যারা অংশ নিতেন, অর্থাৎ যারা আল্লাহর রাস্তায় চিল্লা ও তিন চিল্লার জন্য বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তাদেরকে টঙ্গী ইজতেমা মাঠে জমায়েত না হয়ে নিজ নিজ জেলা ও এলাকা থেকে বের হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। যারা পাঁচ দিনের জোর থেকে আল্লাহর রাস্তায় বের হয়েছিলেন, তাদেরকেও ইজতেমা মাঠে এখন না এসে ওয়াক্ত পুরা করে আসার জন্য মুরুব্বিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। টঙ্গী মাঠে কোনো ধরনের সমাবেশ হচ্ছে না।

হাবিবুল্লাহ রায়হান আরো জানান, খুরুজের জোড় উপলক্ষে টঙ্গী মাঠে যে প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছিল, তা ইতোমধ্যে খুলে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে একটি টিম ও বিষয়গুলা পর্যবেক্ষণ করে।

অতীতের কয়েকটি সহিংস ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাদপন্থীরা একাধিকবার সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর ইজতেমা মাঠ প্রস্তুতির কাজে নিয়োজিত তাবলিগের সাথীদের ওপর হামলায় প্রায় পাঁচ হাজার সাথী আহত হন। একইভাবে ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে পুনরায় হামলায় চারজন সাথী শহীদ হন এবং শতাধিক সাথী আহত হন। উভয় ঘটনার ক্ষেত্রেই সরকারের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি ছিল। এসব প্রজ্ঞাপন উপেক্ষা করে নেক্কারজনক হামলার মাধ্যমে তাবলিগের মেহনতকে দেশ-বিদেশে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে সাদপন্থীরা।

তিনি বলেন, এসব জঘন্য ও ন্যক্কারজনক ঘটনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পক্ষ নৈতিক ও নীতিগতভাবে ইজতেমা মাঠে কোনো ধরনের জোড় বা ইজতেমা আয়োজনের অধিকার হারিয়েছে। ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল যে, সাদপন্থীরা নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ইজতেমা করতে পারবে, তবে পরবর্তী বছরগুলোতে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে কোনো ধরনের ইজতেমা বা তাবলিগী কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। যেহেতু তারা গত বছর ইজতেমা সম্পন্ন করে, অর্থাৎ ইজতেমা করার মাধ্যমে তারা শর্তকে মেনে নিয়েছে।

হাবিবুল্লাহ রায়হান আরো বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, তাবলিগ জামায়াত বাংলাদেশের পক্ষ থেকে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে খুরুজের জোড় ও বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের জন্য আবেদন জানানো হয়।

তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে নির্বাচনপূর্ব সময়ে সেখানে খুরুজের জোড়, বিশ্ব ইজতেমা কিংবা অন্য কোনো ধরনের সমাবেশ বা অনুষ্ঠান আয়োজন না করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জানাজায় অংশগ্রহণের সওয়াব ও ফজিলত

আবু বকর (রা.)-এর অর্থনীতি ও বাইতুল মাল ব্যবস্থা

আকাশপথে নামাজের সুবিধা দেবে এমিরেটস

শহীদের অকল্পনীয় মর্যাদা

বছর শেষে আমাদের করণীয়

পবিত্র কোরআনে ঈসা (আ.)

বিদায়ের সময় ‘আল্লাহ হাফেজ’ বলার অর্থ কী

ভারতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সহিংসতা

হজ প্যাকেজের বাকি টাকা পরিশোধের সময় জানাল সরকার

রজব মাস মুসলিমদের কাছে যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ