বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো স্টেডিয়াম আল্ট্রা-রান ‘ঢাকা স্টেডিয়াম রান’ শুরু আগামীকাল। জাতীয় স্টেডিয়ামে ভোর ছয়টায় শুরু প্রতিযোগিতাটি শেষ হবে ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। স্টেডিয়াম আল্ট্রা-রান অনেক দেশেই জনপ্রিয় খেলা। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো হচ্ছে এই ইভেন্ট। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সার্বিক সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানে কোস্টাল আল্ট্রা বাংলাদেশ এই ঐতিহাসিক ইভেন্ট আয়োজনের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
এই ইভেন্টের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সহযোগিতা করছেন ইগলু আইসক্রিম, বাটা, মোনালিসা স্যানিটারি ন্যাপকিন, আস্তা ফিড, সিটি ব্যাংক ও কোকা-কোলা বাংলাদেশ। এই ইভেন্টের মাধ্যমে দেশের আল্ট্রা-রানিংয়ে একটি নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। একটি আল্ট্রা-ম্যারাথন সাধারণত ৪২.১৯৫ কিলোমিটারের ঐতিহ্যবাহী ম্যারাথন দূরত্বের চেয়ে দীর্ঘ যেকোনো দৌড়কে বোঝায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই খেলাটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে বিশ্বব্যাপী।
ঢাকা স্টেডিয়াম রান ২০২৫ চারটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সময় বিভাগে নির্ধারণ করা হয়েছে : ৩৬ ঘণ্টা, ২৪ ঘণ্টা, ১২ ঘণ্টা এবং ৬ ঘণ্টা। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই প্রায় ৩৫২ জন ক্রীড়াবিদকে স্ক্রিনিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে। দুই দিন ধরে প্রায় ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবক ইভেন্ট পরিচালনায় সহায়তা করবেন। প্রতিযোগীরা দিনের আলোর পাশাপাশি রাতের বেলা স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইটের আলোতেও দৌড়াবেন এবং তারা তাদের দৌড়ের রেকর্ড গড়ার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবেন।
৩৬ ঘণ্টা বিভাগে দৌড়াবেন ২৫ জন। তাদের মিনিমাম ট্র্যাক টাইম ২৮ ঘণ্টা। এই সময়ে পুরুষ দৌড়বিদরা ১৭০ কিলোমিটার এবং নারী দৌড়বিদরা ১৫০ কিলোমিটার দৌড় সম্পন্ন করবেন। ২৪ ঘণ্টা বিভাগে দৌড়াবেন ৩০ জন। তাদের মিনিমাম ট্র্যাক টাইম ১৮ ঘণ্টা। এই সময়ে পুরুষ দৌড়বিদদের ১২০ কিলোমিটার এবং নারী দৌড়বিদরা ১০৫ কিলোমিটার দৌড় সম্পন্ন করবেন। ১২ ঘণ্টা বিভাগে ৯০ জন। তাদের মিনিমাম ট্র্যাক টাইম ৯ ঘণ্টা। এই সময়ে পুরুষ দৌড়বিদরা ৭০ কিলোমিটার এবং নারী দৌড়বিদরা ৬০ কিলোমিটার দৌড় সম্পন্ন করবেন এবং ৬ ঘণ্টা বিভাগে দৌড়াবেন ২০৭ জন। তাদের মিনিমাম ট্র্যাক টাইম ৫ ঘণ্টা। এই সময়ে পুরুষ দৌড়বিদরা ৪৩ কিলোমিটার এবং নারী দৌড়বিদরা ৩৬ কিলোমিটার দৌড় সম্পন্ন করবেন।