আয়ারল্যান্ড টি টোয়েন্টি সিরিজ
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ শেষ হয়েছে। দুই টেস্টেই আইরিশদের হারিয়ে ধবল ধোলাইয়ের স্বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ। টেস্টে উজ্জ্বলতার দ্যুতি সঙ্গে নিয়েই এবার মিশন টি-টোয়েন্টি। যদিও ২০ ওভারের খেলায় আইরিশরা বাংলাদেশের জন্য হুমকির মতোই। সবশেষ দুদলের টি-টোয়েন্টির লড়াইয়ে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছে আয়ারল্যান্ড। সব মিলিয়ে নিজেদের সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হার দেখতে হয়েছে লিটন দাসের দলকে। ২০ ওভারের ক্রিকেটে বেশ এলোমেলো অবস্থায় থাকা বাংলাদেশ আজ আইরিশদের মুখোমুখি হচ্ছে। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা ৬টায়, বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে।
টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সবশেষ সিরিজের তিনটি ম্যাচই হেরেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচেই হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল লিটনের দল। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি তাই নিজেদের ছন্দ খুঁজে পাওয়ার উপলক্ষ। এর পরের দুই ম্যাচে সেটা ধরে রাখাই লক্ষ্য। তবে অতীতের দিক থেকে কাজটি বেশ কঠিনই মনে হবে। এই চট্টগ্রামেই তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জেতার পর তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে সাত উইকেটে হারিয়েছিল আইরিশরা। তবে অধিনায়ক লিটন অতীত পেছনে ফেলে টেস্টের ফর্ম টি-টোয়েন্টিতেও দেখার আশা করছেন, ‘অবশ্যই সম্ভব (ভালো করা)। আমাদের যে টিম আছে, আমরা যদি আমাদের দিনে শতভাগ ক্রিকেট খেলতে পারি, অবশ্যই দুর্দান্ত জয় সম্ভব। তাই বলে প্রতিপক্ষকে ছোট করে দেখার উপায় নেই। যেদিন যে ভালো ক্রিকেট খেলবে, তাদের পক্ষেই জয় কথা বলবে। আমরা চেষ্টা করব সেরা ক্রিকেট খেলার।’
২০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের অনেক উন্নতির জায়গা আছে। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। মিডল অর্ডারের ধস ইদানীং ভোগাচ্ছে দলকে। তবে লিটন চিন্তিত নন, ‘আমি খুব একটা চিন্তিত নই মিডল অর্ডার নিয়ে। অবশ্যই আমাদের প্লেয়াররা লাস্ট কয়েকটি সিরিজে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেনি মিডল অর্ডারে। কিন্তু তারা সবাই পরীক্ষিত। কিছু কিছু সিরিজে প্লেয়ারদের খারাপ সময় যায়। তারা আবার বাউন্স ব্যাক করে। আমি আশাবাদী, তারা এ সিরিজেই নিজেদের চেনাবে। আমি আমার প্লেয়ারদের যথেষ্ট পরিমাণ সুযোগ দেব। আমার মনে হয় তারা ঘুরে দাঁড়াবে। আশা করি এতদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডের সময়টাও ভালো যাচ্ছে না। তারাও আছে হারের বৃত্তে। সবশেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে তারা। এর মধ্যে দুটিতে কোনো ফল হয়নি। বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তাই তারাও আছে আত্মবিশ্বাসের তলানিতে। তবে লিটন দাসদের বিপক্ষে শেষ দেখার জয়টা টনিক হিসেবে কাজ করতে পারে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের দ্বৈরথে এগিয়ে বাংলাদেশই। দুদল এখন পর্যন্ত আটটি টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে। তাতে বাংলাদেশের পাঁচ জয়ের বিপরীতে আইরিশদের জয় দুই ম্যাচে আর এক ম্যাচে কোনো ফল হয়নি। সবশেষ পাঁচ ম্যাচের হিসাবে বাংলাদেশের তিন জয়ের বিপরীতে আয়ারল্যান্ডের জয় একটিতে; অন্য ম্যাচটিতে কোনো ফল হয়নি। এবার মাঠের লড়াইয়ে পরিসংখ্যান কার পক্ষে কতটা কথা বলে সেটাই দেখার।