লাতিন-বাংলা সুপার কাপ
জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশের একটি দল, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ক্লাবের অংশগ্রহণে লাতিন-বাংলা সুপার কাপ। এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিন ব্রাজিলের ক্লাব সাও বার্নার্দো এফসির কাছে ৪-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশের রেড অ্যান্ড গ্রিন ফিউচার স্টারস দল।
ম্যাচের ২৭ মিনিটে ভিতিনহো শটে গোল করে সাও সার্নার্দো এফসিকে এগিয়ে দেন (১-০)। ৩০ মিনিটে আরেক গোল (২-০)। ৫২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে আরও এগিয়ে দেন লুরি ভিয়েনা (৩-০)। সেই ভিতিনহো স্বাগতিক দলের হারের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন (৪-০)।
বাংলাদেশের চার জন প্রবাসী ফুটবলারের কেউই নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। দুয়েকটি আক্রমণ ছাড়া সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিতোষোক চাকমা, একরামুল ক্যাসপার হক, অস্ট্রেলিয়ান এশান মালিক ও ব্রিটিশ ইব্রাহিম হাসিম নওয়াজ।
লাতিন-বাংলা সুপার কাপের উদ্বোধনী দিন নানা অব্যবস্থাপনার চিত্র ফুটে উঠে। মিডিয়া অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দেওয়া হলেও তাতে ছবি নেই। প্রেসবক্সে ইন্টারন্টের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাংবাদিকদের। আরো নানা অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে টুর্নামেন্টট।
অন্যদিকে, টিকিট বিক্রিতেও ধস নেমেছে। মূল্য সর্বনিন্ম এক হাজার টাকা রাখায় টিকিট সেভাবে বিক্রি হয়নি। গেট ভেঙ্গে মাঠে দর্শকরা প্রবেশ করার দৃষ্টান্ত তৈরি করে। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টি স্পোর্টসে খেলা দেখাবে বলা হলেও শেষ পর্যন্ত দেখায়নি। আরটিভি অনলাইনে অর্ধেক খেলা দেখানোর পর তা বন্ধ হয়ে যায়।
আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের দুই ক্লাবকে এনে ঢাকায় টুর্নামেন্টের আয়োজনের পেছনে কাজ করেছেন পেশাদার বক্সিং সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান। কিন্তু একজন বক্সার হয়ে দুই লাতিন দেশের ক্লাবদের ঢাকায় আনলেও পেশাদারিত্বের ছোঁয়া নেই টুর্নামেন্টে।