দুই ম্যাচ শেষে ইন্টার মিয়ামি ও ন্যাশভিলের স্কোর ছিল সমতায়। তৃতীয় ম্যাচ হয়ে দাঁড়াল ভাগ্য নির্ধারণী। তাতে লিওনেল মেসির জাদুর কাছে পাত্তাই পেল না ন্যাশভিলে। মেসির জোড়া গোল ও অ্যাসিস্টে রেকর্ড গড়ার ম্যাচে মিয়ামি জয় পেল ৪-০ ব্যবধানে। প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপ প্লে-অফের সেমিফাইনালে পৌছে গেল হাভিয়ের মাসচেরানোর দল। সেমিতে তাদের প্রতিপক্ষ সিনসিনাটি।
পুরো ম্যাচ ছিল মেসিময়। জোড়া গোল ও অ্যাসিস্ট করে দলের ইতিহাস গড়ে দেন তিনি। এই ম্যাচে অ্যাসিস্ট করে ইতিহাসের দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে সব মিলিয়ে ৪০০ অ্যাসিস্টের রেকর্ডে নাম লেখালেন মেসি। বার্সেলোনার হয়ে ২৬৯, আর্জেন্টিনার হয়ে ৬০, ইন্টার মায়ামির হয়ে ৩৭ আর পিএসজির হয়ে ৩৪ অ্যাসিস্ট করেন আর্জেন্টাইন তারকা।
তিন ম্যাচের সিরিজও হয়ে রইলো মেসিময়। মোট পাঁচ গোল ও তিন অ্যাসিস্ট করে মিয়ামির আট গোলের সব কটির সঙ্গেই সরাসরি যুক্ত ছিলেন মেসি। দলও উঠল সেমিতে। ন্যাশভিলেরর বিপক্ষে সব মিলিয়ে মেসি করেছেন ১৫ গোল।
শনিবারের ম্যাচে লুইস সুয়ারেজকে ছাড়াই মাঠে নামে মিয়ামি। ম্যাচের ১০ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন মেসি। ইয়ান ফ্রের চাপে ন্যাশভিল ডিফেন্ডার ম্যাথিউ করকোরানের ব্যাকপাস ভুলে পড়ে আলেন্দের পায়ে, যিনি এক টাচে বল বাড়ান মেসির পথে। সামনে ফাঁকা জায়গা পেয়ে মেসি ঠান্ডা মাথায় ২০ গজ দূর থেকে নীচু শটে জাল খুঁজে নেন।
৩৯তম মিনিটে আসে দ্বিতীয় গোল। এবারও মেসি। জর্দি আলবার লং বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন ওয়াকার জিমারম্যান। বল পেয়ে মাতোও সিলভেত্তি দারুণ এক পাস বাড়ান ফাঁকা জায়গায় দৌড়ানো মেসির পায়ে। বাকি কাজটা অনায়াসে সারেন মিয়ামি দলপতি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ন্যাশভিল একবার গোল পেলেও রেফারি ফাউলের কারণে সেটি বাতিল করেন। এরপরই ৭৩ ও ৭৬ মিনিটে পরপর দুটি গোল করেন আলেন্দে। দুটি গোলই হয় মেসির অ্যাসিস্টে। এতেই মায়ামির নিশ্চিত হয় ৪–০ ব্যবধানের জয়।